পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ه ه د ) ছাড়ের সমষ্টি । ইহাতে ইহার সরীসৃপদের মতন এবং স্তন্যপায়ীদের হইতে ভিন্ন । সরীস্বপদের ন্তায় পার্থীদের নীচের চোয়াল কোয়াড়ে ট নামক ( Quadrate ) হাড়ের টুকরা দিয়া করোটির সঙ্গে লাগান । কাজেই এই লক্ষণেও ইহারা স্তন্যপায়ীদের হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্তন্যপায়ীদের নীচের চোয়াল করোটির ( Brain-case ) স্কোয়ামজেল নামক অংশের সঙ্গে সাক্ষাৎভাবে জোড়া লাগান । বর্তমান সময়ের সব পাখীর দাতশূন্ত উভয় চোয়াল শিঙ্গের পদার্থের মতন জিনিস দিয়া আবৃত, এই লক্ষণে ইহারা সরীস্বপ শ্রেণীর অন্তর্গত কুর্ম্ম-বিভাগের প্রাণীর ন্তায় । পার্থীর মাথার খুলিতে চক্ষের গর্ত্ত তুলনায় খুব বড় । মাথার খুলির সবগুলি হাড়ের জোড় খুব মিলান। এমন কি আদত জোড়গুলি আর বয়স্ত অবস্থায় টের পাওয়া যায় না । শিরদাঁড়ার হাড়ের গঠন সম্বন্ধেও পাখীতে ও সরীস্বপে এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীতে পার্থক্য দেখা যায়। পার্থীদের মেরুদণ্ডের অন্ততঃ গলদেশের ভারটিব্রি (কশেরুকা) গুলির আগ পাছ ঘোড়ার জিনের হ্যায় বাক হইয়া পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। সরীস্বপদের ভারটিব্রি বল ও সকেটের মতন হইয়া পরম্পরের গায়ে লাগান ! পার্থীদের আর একটা বিশেষত্ব এই যে পিঠের দিকের অনেকগুলি ভারটিব্রি আর লেজের দিকের কয়েকটি ভারটিব্রি একত্রে মিলিত হইয়া সেক্রম (Sacrum) নামক ভারটিত্রির সঙ্গে একসঙ্গে জুড়িয়া রহিয়াছে। লেজের বা পুচ্ছের ভারটিব্রির সংখ্যা খুব অল্প এবং সেগুলি একত্রে জড়াইয়া একটি ত্রিকোণাকার হাড়ে শেষ হইয়াছে । এই ত্রিকোণাকার হাড়ের টুকরাকে “লাঙ্গলের ফাল” ( Plough-share) নাম দেওয়া হইয়া থাকে। শরীরের এই অংশে পুচ্ছের পালকগুলি একত্রে লাগান এবং ইহাকেই পাখীর লেজ নাম দেওয়া হইয়া থাকে। ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে—পাখীর লেজের সঙ্গে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বা সরীস্বপের লেজের প্রকৃতিগত সাদৃশু নাই । অতি আদিম অবস্থার পার্থীর অনেক পরিচয় পাওয়া গিয়াছে তাহাতে দেখা যায় আদিমাবস্থার পার্থীদের মধ্যে স্তন্যপায়ী ও সরীস্বপদের দ্যায় বহু ভারটিব্রিযুক্ত লম্বা লেজ ছিল । সেই লম্বা লেজের প্রতি ভারটন্ত্রাতে এক জোড়া