পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ అతి ) স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ন্যায় পার্থীদের হৃৎপিণ্ডে চারিটি গহবর, এবং হৃৎপিগু হইতে মাত্র একটি বৃহৎ মুল নাড়ী দ্বারা দেহের রক্ত পরিচালিত হয় । তবে এইমাত্র প্রভেদ যে স্তন্যপায়ীদের মধ্যে শ্বাস-নালীর বামভাগে এই বৃহৎ নাড়ী ঘুড়িয়া গিয়াছে কিন্তু পাখীদের ভিতর শ্বাস-নালীর ডানদিক দিয়া বৃহৎ নাড়ীটি গিয়াছে । ডিম পাড়িয়া ছান জন্মাইতে পার্থীরা অধিকাংশ নিম্নশ্রেণীর শিরদাঁড়াওয়ালা প্রাণীদের অনুরূপ । শ্বাস-নালী দিয়া গৃহীত বায়ু যে ভাবে শরীরের সর্বত্র ছড়াইয়া পড়ে তাহাও পার্থীদের আর একটি বিশেষত্ব। স্তন্যপায়ীদের বক্ষগহবরে ফুসফুস দুইটা ঝুলান ভাবে থাকে এবং উহা আবরণে সম্পূর্ণ ঢাকা । পাখীদের ফুসফুস বক্ষ-গহবরের পিছনের দিকের দেয়ালে বিস্তৃত হইয়া আট। আর কতকগুলি বড় শ্বাস-কোষের চুঙ্গী এই বুকের দেয়াল ভেদ করিয়া শরীরের সর্বাংশে ছাইয়া পড়িয়ছে এবং ঐরাপ কতকগুলি চুঙ্গ আবার ফাপা লম্বা হাড় গুলির ভিতর ঢুকিয়া হাড়ের মধ্যে শ্বাস-কোষের বিস্তার করিয়াছে। ফুসফুস যন্ত্রের এইরূপ অতিশয় প্রসার বিশেষতঃ লম্বা হাড়ের ভিতর পর্য্যস্ত বিস্তৃত হওয়ার দরুণ অন্যান্ত প্রাণীর ন্তায় কেবল গল টিপিয়া এই সব পার্থীকে মারিয়া ফেলান অসম্ভব । কেননা গলা টিপিয়া রাখিলেও হাড়ের ভাঙ্গা মাথা দিয়া বায়ু প্রবেশ করিয়া শ্বাসক্রিয়া বেশ চালাইতে পারে । চামড়ার নীচেও কতকগুলি বায়ুপোর থলির মতন শূন্ত-গর্ভ স্থান পাওয়া যায় ইহাতেও শ্বাসক্রিয়ার সাহায্য হয় । স্তন্যপায়ীদের বক্ষ-গহবর ও উদরের মধ্যে মাংসপেশীর একটা পর্দু। আছে, তাহাকে ডায়াফুমি ( Diaphragm ) বলা হয়। ইহাদের বক্ষগহবরে ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড রহিয়াছে, ডায়াফুমি দ্বারা এই দুই যন্ত্র পাকাশয় ও অন্ত্রাদি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক । পার্থীদের দেহ-গহবরে এই পর্দা বা ‘ডায়াফ্রাম নাই। স্তন্যপায়ীদের শব্দ-যন্ত্র কণ্ঠ বা ল্যারিনক্স (Larynx) শ্বাস-নালীর অগ্রভাগে আর পার্থীদের গীত-যন্ত্র বা সিরিনক্স (Syrinx ) শ্বাস-নালীর শেষভাগে । পাখীদের শ্বাস-নালীর অগ্রভাগে যে ল্যারিনক্স বা কণ্ঠ আছে তাহাতে আওয়াজ উৎপল্পের কোনও বন্দোবস্ত নাই ।