পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ونه لا ) স্তবে ইয়োরোপে আজ কাল আবার হোমারস নামক ( "Homers" ) অন্ত একটি স্বতন্ত্র পায়রার ভেরাইট হইতে “পত্রবাহী কপোতের” আর এক নূতন দল তৈয়ার করা হইতেছে। “দেশান্তর-প্রয়ান” ( Migration ) অনেক পার্থীদের ভিতর একটি বংশগত প্রথা । বৎসরে দুইবার এইরূপ দেশ বদলান হয় । অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডার দেশে সস্তানোৎপাদন সমাধা করিয়া অপেক্ষাকৃত গরম দেশে শীতকাল কাটান এই প্রথার ধারা । ভারতের নানারকমের জঙ্গলী হাস, কাদাখোচ। প্রভৃতি সস্তানোৎপাদনের জন্ত হিমালয়ের অপর পারে চলিয়া যায়। এই দীর্থযাত্রা সাধারণতঃ রাত্রিতেই বেশী হয় । আকাশের অনেক উপরে উঠিয়া পাখীরা এইরূপ দুরযাত্রী হয়। প্রয়ানের সময় উচ্চতা এত বেশী যে দিনের বেলায়ও পাখীগুলি মানুষের চক্ষের গোচরীভূত হয় না। অধিক আশ্চর্যের বিষয় এই যে তরুণ পার্থীরাই সর্ব্বাগ্রে দক্ষিণের দিকে যাত্রা করিতে আরম্ভ করে। ইহাও ঠিক ভাবে জানা গিয়াছে যে এই ষান্মাসিক প্রয়ানে পার্থীরা অনেক পরিমাণে একট। নিদিষ্ট পথ অবলম্বন করিয়া থাকে । পৃথিবীর সর্বত্রই পাখী দেখিতে পাওয়া যায় তবে অন্তান্ত প্রাণীশ্রেণীর দ্যায় গ্রীষ্মমণ্ডলেই পাখীদের জাতি-বৈচিত্রের আধিক্য অনেক বেশী । এই গেলারির উত্তরের দরজা দিয়া ঢুকিতেই বামদিকে দেয়াগের লাগ গ্লাসকেসে পাখী গুলিকে তাহাদের বর্গ ও জাতি হিসাবে সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। ককি ও হুমী (Bird of Paradise) প্রভৃতি দ্বারা আরম্ভ করিয়া পুবদিক হইয়া ঘুরিয়া দক্ষিণের দেয়ালের কেসে দরজার সোজাসুজা অপর পাশ্ব পর্য্যস্ত অষ্ট্ৰীচ, ইমু প্রভূতিতে শেষ হইয়াছে। যত রকম জানা পাখী আছে সে সবগুলিকে প্রথম দুই উপশ্রেণীতে ভাগ করা হয় । (১) আদিম পাখীর শ্রেণী বা আরকিওরনিথেস (Archaeormatkes )। আরকি অপটেরিক্স ( Archaeoptery e ) নামের ফসিল পাখিটি এই উপশ্রেণীর একমাত্র জানা পাখা। ১৮৬১ খৃঃ অঃ রেভেরিয়া দেশে জুরালিক প্লেটের স্তরে এই পার্থীর পাথরে পরিণত দেহাবশেষ পাওয়৷