পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘( “s ) সম্প্রদায় গান্ধার শিল্পের পূর্ববর্ত্তী এবং শেষ সময়ে প্রায় সমসাময়িক বলিমা মনে হয়। কিন্তু ইহাতে এমন প্রমাণও পাওয়া যায় যে শেষভাগে ইহা (মাধুর সম্প্রদায় ) গান্ধারের আধিপত্যে বেশ সমাচ্ছন্ন। যাহাই হউক ইহা কিন্তু গান্ধার অপেক্ষা অধিক পরিমাণে সম্পূর্ণ ভারতীয় ধরণের। ইহার অনেকগুলি শেষ ভাগের প্রস্তরে কুষাণ সম্রাটগণের রাজ্য কালীন লিপি ক্ষোদিত আছে। অতএব এই মাথুর সম্প্রদায়ের শেষ সময়, কতকটা নিৰ্দ্ধারিত রূপে, খৃষ্টাব্দের আদি শতাব্দীর ভিতর ফেলা যাইতে পারে। খুব প্রকাণ্ড বুদ্ধমূর্ত্তিট, যাহার মস্তকের পশ্চাতের মগু লাকার ছটা বড়ই চিত্রবিচিত্র এবং যাহা পূর্ব্বদিকের দেওয়ালের গায়ে দণ্ডায়মান রাখা হইস্থাছে, গুপ্ত সময়ের একটী নিদর্শন। কিন্তু ঐ বড় বড় দুখানি পা, যাহার উপরে ঐ মূর্ত্তিটি রাখা হইয়াছে, তাহদের সহিত মূর্ত্তিটর কোন সম্পর্ক নাই। দ্বিতীয় বীথিতে গুপ্ত সময়ের কতকগুলি বুদ্ধমূর্ত্তি রাখা হইয়াছে। এ গুলি কাশীর নিকটবর্ত্তী সারনাথ নামক স্থান হইতে আনীত । এই সারনাথই প্রাচীন মৃগদাব যেখানে বুদ্ধ তাহার প্রচার কার্য্য আরম্ভ করেন এবং তাহার প্রথম ধর্ম্মোপদেশ প্রদান করেন । এই সব মুর্ত্তির সহিত গান্ধারের বুদ্ধ মূর্ত্তি মিলাইয়া দেখিলে দেখা যায় খৃষ্টাব্দের চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে খাস হিন্দুস্থানে বৌদ্ধ শিল্প কেমন সম্পূর্ণ ভারতীয় হইয়৷ দাড়াইয়াছে । ঐ বহু চিত্র বিচিত্র মস্তকের পশ্চাতের গোলাকার ছটাই ঐ শতাব্দীর বিশিষ্ট নিদর্শন । * তৃতীয় বীখিতে পশ্চিমের দেয়ালে সারনাথ হইতে আনীত গুপ্ত । সময়ের কতকগুলি প্রস্তর চিত্র আছে। দৃপ্ত গুলি বুদ্ধের জীবনের । র্তাহার জন্ম, তাহার জ্ঞানলাভ, তাহার প্রথম ধর্ম্মপ্রচার ও তাঁহার মৃত্যু । পূর্ব্বদিকের দেয়ালের গায়ে যে দুখানি পাথর আছে, তাহ মান্দ্রাজ অঞ্চলের কৃষ্ণা জেলার অন্তর্গত অমরাবতীর প্রসিদ্ধ স্ত,প হইতে আনীত । এই যাদুঘরে অমরাবতীর এই দুইখানি মাত্র পাথর। বিলাতের যাদুঘরে কিন্তু অমরাবতীর অনেকগুলি পাথর আছে, সেগুলি সেখানে বড় সিড়ির -কাছে সাজান হইয়াছে এবং মাঞ্জাজ মিউজিয়ামেও কতকগুলি রছিয়াছে। তাহার যে সাম্প্রদায়িক শিল্পকে দেখাইতেছে তাছা মথুরার শিল্প হইতে