পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ه لا ) অনেক অংশে প্রকৃত ভারতীয় । কিন্তু ইহারও স্থানে স্থানে বিদেশীয় প্রভাব লক্ষিত হয়। এই উচ্চদরের বিশুদ্ধ শিল্প অনেক সমালোচকের মতে গ্রীসীয় বৌদ্ধযুগের শিল্প হইতে উৎকৃষ্ট, অন্ততঃ সমান। লম্বা পাথরখানিতে বুদ্ধের গত মনুষ্য মূর্ত্তিতে আবির্ভাব কাহিনীর তিনট দৃশু দেখান হইয়াছে। প্রথম বিভাগে দেখান হইয়াছে, তিনি তুষিত নামক স্বর্গে উপবিষ্ট এবং তিনি মনুষ্যগণের মুক্তির জন্য তাহার মনুস্থ্য জন্মগ্রহণের অভিপ্রায় দেবগণকে ব্যক্ত করিতেছেন । ইহা কার্য্যে পরিণত করিতে তিনি এক শুভ্র বড় দস্ত হস্তীর আকার ধারণ করেন এবং ঐ পাথরের দ্বিতীয় ভাগে ঐ আকারে তিনি দেবগণ সমভিব্যাহারে মর্ত্যে আগমন করিতেছেন। তৃতীয় ভাগে তাহার ভবিষ্যৎ মাতা রাণী মায়াদেবী থট্রার উপর শয়ান এবং ঐ স্বৰ্গীয় শিশু হস্তীরূপে তাহার দক্ষিণ কুক্ষিতে প্রবেশ করিতে তদিকে অগ্রসর হইতেছেন। এই দক্ষিণ কুক্ষি হইতেই পরে তিনি রাজকুমার সিদ্ধার্থ হইয়া জন্মগ্রহণ করেন । গৃহের দক্ষিণ পাশ্বস্থ পর পর বীথিগুলিতে যে সকল বৌদ্ধমূর্ত্তি রাখা হইয়াছে, তাহার অধিকাংশই বেহারের ; কয়েকটা বুদ্ধগয়ার এবং নালনদার । এ সম্প্রদায়ের শিল্প এখন পর্য্যস্তও ভালরূপ অনুশীলিত হয় নাই বলিয়া ইহাদিগকে কাল ভেদে সাজাইয়া রাথিতে পারা যায় নাই । ৮• • হইতে ১২ • • খৃষ্টাব্দ ইহাদিগের মোটামুটি সময়। তবে সৌভাগ্যক্রমে ইহাদিগের মধ্যে কতকগুলিতে ক্ষোদিত লিপি আছে । ইহাদের সাহায্যে কালে খুব সম্ভব সেগুলির ঠিক্‌ সময় নিৰ্দ্ধারণ করা যাইবে । এখন ইহাদিগের হস্তভঙ্গি অনুসারে একত্র রাখা হইয়াছে। প্রথম বীথিতে যে সকল বুদ্ধমূর্ত্তি আছে, তাহাদের দক্ষিণ হস্ত তাহদের আসনের সম্মুখে মাটি ছুইয়া রহিয়াছে। এই মুদ্রাকে ভূমিম্পর্শ মুদ্রা বলে । এই মুদ্রা বুদ্ধের জ্ঞান লাভের সময় দেখাইয়া দিতেছে অথবা তাহার মনুষ্যজীবনের সেই মুহূর্ত্তকে জানাইতেছে যে মুহূর্তে তিনি জ্ঞানের চরম সীমায় উপনীত হন অর্থাৎ বোধি লাভ করেন। বৌদ্ধ ধর্ম্মশাস্ত্রে লিখিত আছে যে এই সময়ে ছবৃত্ত মার বুদ্ধকে নানা রকমে প্রলোভিত করিয়াছিল । উন্ধেগু তিনি ৰাহীতে র্তাহার সেই মনুষ্যজাতির উদ্ধার কামনা