পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(هد ) : কাপড়ের উপর আলগা রেশমের দ্বারা এরূপ ভাবে কাজ চাক যে ভিতরের আদিত সুতার কাপড়গুলি আদি দেখাযায় না । কথিয়াওয়ার দেশে এরূপ প্রথা আছে যে বিবাহের সময় “চোকুলার” দুই একটা কাপড়ের টুকুর বা রুমাল, পাত্রীর বিবাহের পোষাক বাধিয়া দিতে হয় এবং বিবাহের পর ঐ রুমালগুলি শোভার স্তু দ্য শোয়ার ঘরের দেওয়ালে টাঙ্গাইয়া রাখাহয় । তোরণ নামক রুমালগুলি, চাষাদিগের থাকিবার ঘরের অন্দর মহলে নিশানের স্থায় টাঙ্গান হইয়া থাকে। । ‘. . . . পার শুদেশ হইতে আনিত নানারঙ্গের গাছপালার নক্সা সুইয়ে তোলা “সোজনী" কাপড় । ইহা প্রধানতঃ বিছানা ঢাকিবার জন্ত ব্যবহার করা হইয়া থাকে। ইহার পরে পাঞ্জাব হইতে সংগৃহীত রঙ্গিন ও রেশমের ফুলকাটা “ফুলকারী” নামক বস্ত্রগুলি রাখা হইয়াছে। পরে মাদ্রাজের স্বইয়ে তোলা কাপাসের ফিতা বা লেইস এবং সোণার জরির মাছি ও ফঁাচপোকার চিক্কন পাথার কাজকরা কাল রংয়ের জাল রাখা হইয়াছে। তারপরে চাম্বা হইতে প্রাপ্ত ফুলকাটা ও দেবদেবীর ছবিওয়ালা সুন্দর রেশমী রুমালগুলি রহিয়াছে এবং লক্ষেী হইতে আনা অতি সুহ্ম নুইয়ের কাজকরা “চিকন” নামক কাপড় রাখা হইয়াছে। এইগুলির পর সাচ্চ জরির কাজে শোভিত অতি সূক্ষ্ম কাপাসের সাদা মসলিন কাপড়ের চাপকান ও পাগড়ী। কথিত আছে যে ঐ চাপুকান ও পাগড়ী সম্রাট আরঙ্গজেব নিজে পরিতেন এবং কোন যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া তিনি তাহার এক অনুচরকে এই দুইটি ৰকfশষ রূপে দান করিয়াছিলেন । ইহার পর লক্ষ্মেী এবং কাশী হইতে প্রাপ্ত সাচ্চ কাজের নমুনা এবং মুর্শিদাবাদ হইতে প্রেরিত সাচ্চ কাজে শোভিত হাওদার ঢাকনা রাখা হইয়াছে। বোন ও তাতে তোলা কারুকার্য্যখচিত কাপড়গুলি পূব দিকের দেওয়ালের গায়ে নিম্নলিখিত ভাবে উত্তর হইস্তে দক্ষিণের দিকে পরপর সাজান আছে –পালঘাট হইতে সরু কাঠির মাছুর, আলিগড় ও আগরা হইতে আনিত সতরঞ্চি, পাঞ্জাব হইতে প্রাপ্ত রঙ্গিন ও পশমী নামদা, বোখার, তিব্বত, পারঙ্গদেশ ও বিকানীর হইতে সংগৃহিত সুন্দর পশমি গালিচা, ঢাকা হইতে প্রাপ্ত মসলিন নামক অতি সরু স্থতার কাপড় এবং সোণ ও রূপার খচিত মসলিন সাড়ী । পারগু দেশ ও