পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( * , কঙ্কালের খাচা (Zooecium) আর ভিতরেরটি গুয়াওয়াল কোমল প্রাণীদেহ (Polypide)। গুয়াগুলি ভিত্তিসমেত মুখের চারিদিকে সাজান। এই অংশের নাম লফোফোর (Lophophore)। সমুদ্রেই ইহাদের বেশী সমাগম। তৰে মিঠা জলেও পাওয়া যায়। ইহারা আণুবীক্ষণিক প্রাণী। বড় করা চিত্র দিয়া ইহাদের গঠনপ্রণালী বুঝান হইয়াছে। ইহাদের স্নায়ুমণ্ডল, মাংসপেশী সবই আছে। too, কণ্টক-চর্ম্ম । (Echinodermata.) প্রাণীজগতে এই বিভাগের প্রাণীদের গঠনপ্রণালিতে একটা বিশেষত্ব দেখা যায়। প্রায় আর সব রকম প্রাণীগুলিকে একটি মধ্যরেখাদ্ধারা ডান ও বাম, এই দুই ভাগে ভাগ করিতে পারা যায় এবং সেইরূপ দুই ভাগে একটা পারিপাখিক সাদৃপ্ত দেখা যায়। কণ্টকচর্ম্মীরা গোলাকার। কেন্দ্র হইতে পরিধির দিকে উহাদের প্রসার, কাজেই যে কোন ব্যাস দিয়া উস্থাদিগকে সম দুই খণ্ডে ভাগ করা যাইতে পারে। অষ্ঠ সৰ লম্বা জাতীয় প্রাণীদের ন্যায় একমাত্র মধ্য-রেখার ডা’ন বা দিক হিসাবে ইহাদের একটা পারিপার্থিক সাদৃগু নাই। কণ্টক-চর্ম্মীদের আর একটি বিশেষত্ব এই যে ইহাদের দেহ পাঁচ বা পাচের সংখ্যক হিসাবে কেন্ত্রের দিক হইতে সমধা বিভক্ত। মাথাওয়ালা ৫টি লম্বা প্রাণী যদি কোন একটি মধ্যবিন্দুতে ৫টির মাথা একত্র মিলিত করে এবং চক্রাকারে পরিধির দিকে পায়ের দিক ছড়াইয়া দেয় তবে এই কণ্টক-চর্ম্মীদের মতন গঠিত একটি প্রাণী হইয়া দাড়াইবে । কণ্টক-চর্ম্মীদের মাথা ও মুখ কেন্দ্রে স্থিত। এই কেন্দ্রস্থ মাথা হইতে পাঁচ বা পাচের গুণিতক হিসাবে সম ভাবাপন্ন ততটি দেহ পরিধির দিকে বাহির হইয়া আসিয়াছে। এই প্রত্যেক শরীরে দেহ-পোষণের পাকাশয়াদি ও দেহ সঞ্চালনের পদাদি রহিয়াছে এবং বংশ বৃদ্ধির জন্ত ডিম্বাদি ও আছে।