পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७8 ) দ্বিপুটক ঝিনুক সাজান রছিয়াছে এবং তাহদের শ্রেণীবিভাগ দেখান । হইয়াছে। শুক্তিতে মুক্ত উৎপত্তি-প্রণালী একটি বিশেষ কেসে দেখান হইয়াছে । গ্রন্থি-পদী প্রাণী । (Arthropoda. ) গ্রন্থি-পদী প্রাণীর সমস্ত দেহ গ্রন্থিসমষ্টি আর ইহাদের প্রতি গ্রন্থির জোড়া পাগুলিও গ্রস্থিল । ইহাদের দেহ একটি পাতল থোলসে আবৃত । এনেলিডার সঙ্গে এই গ্রন্থি-পদী প্রাণীদের যে সোসাদৃশু ও পার্থক্য আছে তাহ একটু বুঝিয়া নেওয়া উচিত। উভয়ের দেহ আঙ্গটির দ্যায় গ্রন্থিসমষ্টি । কিন্তু পার্থক্য পদের গঠন নিয়া । যে সব এনেলিডার পা আছে তাহাদের পা সরল অর্থাৎ গ্রন্থিহীন আর আরথোপোডাদের প। গ্রন্থিবিশিষ্ট (গাইট যুক্ত )। অধিকাংশ গ্রন্থিপদীর দেহস্থ গ্রন্থিগুলি ভিন্ন ভিন্ন রকমের, কিন্তু এনেলিডাদের শরীর প্রায় একরূপ গ্রন্থিরই সমষ্টি। ইহারা অনেকগুলি ট্রেকিয়া (Trachaea) নামক ক্ষুদ্র স্কুওয়াল চুঙ্গীর সাহায্যে খোল বায়ু হইতে তাহাদের শ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয় নিম্পন্ন করে। অন্ত গুলি গিলের সাহায্যে জলে মিশান বায়ু হইতে অক্সিজেন গ্রহণ করিয়া থাকে। ঐ শেষোক্ত রকমের গ্রন্থি-পদী প্রাণাদিগকে কুসটেশিয়া (Crustacea) বলা হয়। ইহাদের দেহ পাতলা অথচ দৃঢ় খোলসে সম্পূর্ণ ঢাকা। কাকড়, চিঙ্গড়ী, জলপোকা প্রভৃতি ইহাদের জাত । ইহাদের অধিকাংশ সমুদ্রবাসী, কতকগুলি মিঠাজলে পাওয়া যায়। ২১টি স্থলচর। ক্রুসটেশিয়াকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। - এক ভাগের অধিকাংশ প্রাণীই আণুবীক্ষণিক এবং তাঁহাদের দেহ গ্রন্থির সংখ্যা নানারূপ । এই ক্ষুদ্রাবয়ব কুসটেশিয়াদিগকে এণ্টেমোসট্রাক (Entomostraca) বলে । অন্যগুলির গ্রন্থি সংখ্যা নির্দিষ্ট, প্রত্যেকের একুশটি করিয়া গ্রন্থি। এবং প্রায় প্রতি গ্রন্থির নিদিষ্ট এক জোড়া করিয়া পা বা পরিবর্তিত পায়ের