পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ఆట ) বাস করে । মাথা ও মুখ নীচের দিকে লাগান থাকে, আর উপরের দিকে গ্রন্থি দেওয়া পাগুলি । সেই লম্বা পায়ের শ্রেণী চাড়ার খোলা মুখে বাহির হইয়া আচারান্বেষণে জলে ঢেউ তুলিতে থাকে। সমুদ্রতীরে পাথরের গায় ও চলন্ত জাহাজের তলায় ইহাদিগকে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় । নাবিকেরা ইহাদের একজাতকে ওকের ফল (Acorn shells) got as: এক জাতকে সামুদ্রিক ইসের ডিম (Barnace) নাম দিয়া থাকে। স্কালপেলাম (Scape//an) জাতের একটি সিরিপিডিয়া ব্যবচ্ছেদ করিয়া পূবের দেয়ালের লাগান গ্রসিকেসে রাখা হইয়াছে । (২) মালাকসট্রাক ( drafatostrata ) শ্রেণীকে ছয়টি বর্গে ভাগ করা হয় । ইহাদের দেচে একুশটি গ্রন্থি। সর্ব্বশেষটি ব্যতীত আর সৰগুলির জোড় গ্রন্থিযুক্ত প) বা পারের পরিবত্তিত অন্য কোনওরূপ গঠন । এই একুশ গ্রস্থির ছয়টি গ্রন্থি একত্রে জুড়িয়া গিয়া মস্তকরূপে পরিণত হইয়াছে । আর এই ছয়টি গ্রন্থির ৬ জোড়। পা পরিবর্ত্তিত হুইয়া স্পশগুয়া, চিবাইবার দুই জোড়া ধারাল মাঢ়ী, চোখের বোট প্রভৃতি হইয়াছে। মাথার পিছনের আটটি গ্রন্থি এক সঙ্গে জুড়িয়া বক্ষস্থল হইয়াছে আর এই আট গ্রন্থির আট জোড়া পা ধরিবার ও যুঝিবার চিম্‌টা, এবং কখনও হাটিবার পা এবং খুব অল্পসংখ্যক প্রাণীতে সাতার কাটিবার যন্ত্রে পরিণত হইয়াছে । শেষের সাতটি গ্রন্থি পরস্পর হইতে পৃথক ও অসংযুক্ত, ইহারা উদরে পরিণত হইয়াছে । ইহাদের শেষটির কোনও জোড়া পা নাই । ইহাকে টেলসন (*Telson”) বা লেজ বলা হয় । আর বাকি ছয়টিতে জোড় পদগুলি সাতার কাটিবার বা লাফাইবার যন্ত্ররূপে পরিবত্তিত হইয়াছে। এই শ্রেণীর ছয়টি বর্গ নিম্নে উল্লেখ করা মাইতেছে । ( ক ) এম্‌ফিপোডা (Amphipoda) । সাধারণতঃ ইহার ক্ষুদ্রাবয়ব এবং দেহটি দুই পাশে চাপা। গিলগুলি বক্ষস্থলের জোড়া জোড়া পায়ে লাগান। ইহাদের চক্ষুর বোট নাই । - (খ ) আইসোপোড়া ( /sopoda ) ইহাদের वंश কয়েকটি মিঠা জলে বাস করে আর কয়েকটি ডাঙ্গাতেওঁ থাকিতে পারে। কাঠের