পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( t ) দেহাবশেষ । তদনুসারে ভারত গবর্ণমেন্ট শুাম প্রদেশের রাজাকে সেই অস্থিগুলি উপহার দেন, কেননা তিনিই তখন এক মাত্র রাজশক্তি সম্পন্ন খাটি বৌদ্ধ রাজ । ইহা ব্যতীত আর যে সকল মূল্যবান মণি-মাণিক্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্মৃতি নিদর্শন এই গ্লাসকেসে রহিয়াছে সেগুলি দেখিলে প্রাচীন ভারতে এ জাতীয় শিল্পের কি চমৎকার উন্নতিই হইয়াছিল তাহ বেশ স্পষ্টই বুঝা যায়। এই সকল নিদর্শনের কাল সাধারণতঃ খৃঃ পূঃ তৃতীয় শতাব্দী বলিয়া গৃহীত হইয়াছে। এই গ্লাসকেসের অপরদিকে তোরণটির সন্মুখভাগে কতিপয় ক্ষোদিত রত্ন বা ছোট ছোট শীল মোহর আছে। এগুলি স্তার অরেল ষ্টাইন (Sir Aurel Stein) attr ciotras atrifafie ধ্বংসাবশেষের ভিতর হইতে বাহির করিয়াছেন । গ্লাসকেসটির উত্তর দিকে একটি ছোট সোণার পাত আছে, ইহাতে একটি বেশ মুস্পষ্ট স্ত্রীমূর্ত্তি খোদিত। মৃত ডাক্তার থিওডর রক্ সাহেব এই সোণার পাতটি জেলা চাম্পারণের লেরিয়া নন্দন গড় নামক স্থানে কতকগুলি অনন্ত সাধারণ রকমের মাটির ঢিবি খুড়িতে খুড়িতে একটির ভিতর হইতে বাহির করেন। ডাক্তার ব্লক তাহার খোদন কার্য্যের বিবরণীতে হেতুবাদসহ প্রকাশ করিয়াছেন যে এই সকল মৃত্তিক স্তুপ বৈদিকযুগের মৃত-প্রোথন স্থপ অর্থাৎ গোরস্থান এবং খৃঃ পূঃ অষ্টম শতাব্দীর নিদর্শন। সুতরাং এই সোণার পাতটিই সম্ভবতঃ এই যাদুঘরের যাবতীয় পুরাতন ঐতিহাসিক বস্তুর মধ্যে সর্ব্বপ্রাচীন। যদি ডাক্তার ব্লকের অনুৰান সত্য হয় তবে এই স্ত্রীমূর্ত্তিটিকে পৃথিবীদেবীর মুক্তি বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে। যেহেতু বৈদিকযুগের ভারতীয়েরা তাহাদের মৃত ব্যক্তিকে মাতা পৃথিবীর হস্তে সমর্পণ করিতেন । পশ্চিম দিকের দেওয়ালের মাঝামাঝি স্থানে দেওয়ালের গায়ে ঠেস দেওয়া পাথরের যে একটি বৃহৎ সিন্ধুক রহিয়াছে উস্থার ভিতরেই পিপুরাবারের নিদর্শনগুলি ছিল। এই সিন্ধুকটি বাস্তবিকই ঐ অন্ত প্রাচীনকালের নির্ম্মাণ কৌশলের একটি সুন্দর নিদর্শন। . এই গৃহের দক্ষিণ সীমানায় বুদ্ধগয়া হইতে আনীত কয়েক টুকরা