পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) ভেকাদির গায়ের চামড় নরম ও বীচি (gland) সংযুক্ত । ঐ চামড়ারদ্বারা শ্বাসক্রিয়ারও সহায়তা হয় । পুর্ব্বকথিত ইকৃথিওফিস প্রভৃতির ( /o»t¢y%is ) চামড়ার স্থানে স্থানে ছোট ছোট আইস বা খোলস (Scales) ভিতরে ঢোকান অবস্থায় দেখা যায় । অধিকাংশ ভেকাদি প্রথম ভ্রণাবস্থা হইতে বয়স্থ আকৃতিতে পরিণত হইতে নানারূপ ভ্রণাকৃতির ভিতর দিয়া পরিবর্ত্তিত হইয়া আসে। ইহাই ভেকাদির জীবনে ভ্রণের রূপান্তর-প্রণালী (Metamorphosis ) । কীটদের আলোচনায় প্রাণিরাজ্যে এই রূপান্তর-প্রণালীর বিষয় পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে। ব্যাটাকিয়েনদের ( ভেকাদির ) রূপান্তরের প্রণালী, ফলস্ত-ডিমৰিমুক্ত ভ্রণ-শিশুর মাছের ন্তায় জলচর প্রাণীর অবস্থা হইতে ক্রমিক স্থলচর প্রাণীর পূর্ণাবস্থা প্রাপ্তান্তে বয়স্থ প্রাণির আকার ও প্রকৃতি পাওয়া পর্য্যস্ত চলিতে থাকে। একদিকে জলে শ্বাসগ্রহণ করার গিল যন্ত্রের ক্রমিক খর্ব্বতা ও লোপ, আর অন্যদিকে ফুসফুস যন্ত্রের ক্রমিক উদভব ও প্রসার ; আবার এই পরিবর্তনমূলক গিলের রক্তসঞ্চালন প্রণালীর পরিবর্তনের সঙ্গে হৃৎপিণ্ড ও তৎসংক্রান্ত রক্তসঞ্চালন প্রণালীর সম্পূর্ণ বিপর্য্যর ; এই তিনটি যুগপৎ ঘটনা ইহাদের রূপান্তর- প্রণালীর অতি গুরুতর ও অত্যাবশুৰ্কীয় আভ্যস্তরিক অবস্থা । বাহিরের দৃষ্টিতে এই রূপান্তরের বিশেষ দ্রষ্টব্য অংশ দুই জোড়া পায়ের ক্রমিক উদ্ভব, আর বেঙ প্রভৃতিতে লাঙ্গুলের ক্রমিক তিরোভাব ( Atrophy ) । প্রায় এক সময়েই এই ভ্রণ-শিশুর আগের ও পাছের দুই জোড়া পা দেহের পাশ দিয়া গজাইয়া বাহির হইতে আরম্ভ হয় । কিন্তু আগের পাজোড়া গিলের ঢাকনা দুইটার দ্বারা অনেকটা আবৃত থাকে বলিয়া পাছের পাজোড়াই বাহির হইতে প্রথম চক্ষে পড়ে। মুখের ভিতর এবং পাকাশয়ে যে সব পরিবর্তন ঘটে তাহাও সহজে দেখা যায় । বেঙাচির শোষক মুখ আর মুখের ভিতর শিঙ্গের ন্যায় পদার্থে তৈয়ারী চঞ্চু (beak), এবং উদ্ভিদভোজী প্রাণীর পাকাশয়ের দ্যায় লম্বা, পেচান অন্ত্র । শেষ খোলস পরিবর্তনের সময় সেই চঞ্চু পড়িয়া যায় এবং মুখ বয়স্থের