পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( a y রকমে বাক্টিয়া বলা হইয়া থাকে । ) এই সকল প্রস্তর হইতে ইহা প্রমাণিত হইতেছে যে ভারতীয় বৌদ্ধের তাছাদের মূর্ত্তি নির্ম্মাণের জন্তু বাকুটিয়ার গ্রীক শিল্পীদিগকে কোন কোন সময়ে নিযুক্ত করিতেন। এ শিল্পের পুর্ব্ববর্ত্তী-কালের ভারতীয় শিল্প সকলে ইহা একটি বেশ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে সে সকল প্রস্তর চিত্রের কোথাও বুদ্ধের নিজের দেবমূর্ত্তি চিত্রিত নাই। প্রাচীন শ্রেণীর ভারতীয় শিল্পে যেখানে কোন চিত্রে বুদ্ধের উপস্থিতি নিতান্ত আবখ্যক হইয়াছে সর্ব্বত্রই তাহার স্থানে বুদ্ধের মানব মূর্ত্তি না বসাইয়া কোন একটা পবিত্র চিহ্ল বসান হইয়াছে। কিন্তু এই গান্ধার সম্প্রদায়ের কাজে বুদ্ধমুক্তি প্রায়ই সর্ব্বস্থানেই দেখা যায় এবং ইহ মুম্পষ্ট যে এই সব বুদ্ধমূর্ত্তি প্রথমে বাক্টিয়ার গ্রীক শিল্পীরা তাহদের দেবতা আপেলোর অনুকরণে নির্ম্মাণ করেন । বেশ পুরাতন পুরাতন নিঙ্গশন গুলিতে ঐ যে মুখের ছাচ, এই যে নুতন ধরণের বস্ত্র পরিধান ভাব, আর ঐ যে মস্তকেয় পশ্চাতে মওলাকার ছটা, এ সবই বিদেশীয় আমদানী। ভারতীয় শিল্পে এ গুলির সব নুতন আবির্ভাব । গ্রীস দেশীয় ক্যাপিটেল থামের মত মাথাল এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমদিকের দেয়ালের গায়ের গ্লাস কেসে রক্ষিত নানাবিধ মোট রকম সাজের গঠন পদ্ধতি, এই গ্রীকৃ প্রভাবের অন্ততর প্রমাণ। উহাদের মধ্যে সব লম্বা লম্বা ফুলের মালার মত জিনিষ গুলি ছোট ছোট বালকদের হাতে ধরা, আর ঐ হাটুগাড়া মুক্তিগুলি (Atlantes) যাহারা সাধারণতঃ স্তপের কার্ণিশ এবং ব্রাকেটু বহন করিবার জন্য স্থাপিত, এ সবই গ্রীকৃ প্রভাবের প্রমাণ । মধ্যবর্ত্তী গ্লাসকেস গুলিতে যে সব প্রস্তর রাখা হইয়াছে তাহা সব বুদ্ধদেবের পবিত্র জীবনের ঘটনায় বা চিত্রে পরিপূর্ণ। সকল গুলির অর্থ এখনও বুঝা যায় নাই। তবে পারিসের প্রফেসার ফুসে ও অপরাপর পণ্ডিতগণের কৃপায় ইহাদের অনেক গুলিরই অর্থ বুঝিতে পারা যায় এবং দেখা যায় যে এ গুলি বুদ্ধদেবের শেষ জীবনের পৰিত্র কাহিনীর প্রস্ফুট ও সম্পূর্ণ চিত্র সমবায় । এগুলি সব বর্তমান পেশোয়ারের সমতল ভূমিস্থিত স্তপ গুলির চতুষ্পর্শ্বে সজ্জিত ছিল। স্তুপ বলতে ইহা বুৰিতে হইবে যে ইহা একটি গোলাকার উচ্চ ঢিবি । মূলতঃ ইহা অস্তেষ্টিক্রিয়ায়