পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিলাম তো পড়তে ? কয়েক লাইনের ছোট চিঠি-রসকষবিহীন। প্রাণেশ্বরী গাঁদা বলে য়ে শুরু করেছে সেটাও যেন নেহাত নিয়ম রক্ষার জন্য-চিঠিতে বৌকে সম্বোধন করার এটাই চিরকেলে রীতি, তাই।--তুমি নিশ্চয়ই আমার উপর রাগ করিয়াছ, অন্য নামে জেলে থাকায় এতদিন খবর দিতে পারি নাই, কৈলাসদার কাছে সব জানিতে পারিবা, তোমাদের জন্য সর্বদা মন কেমন করে । সাবধান, কাহারও নিকট এই চিঠির কথা প্রকাশ করিব না। -এই হল চিঠি । পড়ে কৈলাস বুঝতে পারে গাদা কি জন্য এত সহজে তাকে চিঠিটা পড়তে দিয়েছে । বলে, এমনিতেই শালা হয়, নইলে শালা বলে গাল দিতাম। বৌকে যেন অফিসিয়াল নোট পাঠিয়েছে। চিঠি পড়ে সে কি বলে শোনার জন্য গাদা উৎকর্ণ হয়েছিল, সে প্রতিবাদ করে বলে, বাঃ রে, লোকের হাতে লুকিয়ে পাঠালে, আবার কি লিখবে? তা বটে, তুই ঠিক বুঝে নিয়েছিস । তুমি কি বুঝলে বল না ? কি বুঝলাম ? বুঝলাম মোদের গাদার জন্য ছটফট করছে, খবর না জানিয়ে থাকতে পারল না । গাদা হতাশার সুরে বলে, শুধু এই বুঝলে ? শিগগির ছাড়াটােড়া পাবে বলে খবরটা জানিয়েছে, ওসব কিছু নয় ? কৈলাস উৎসাহিত হয়ে বলে, হঁ। ই ঠিক কথা, তাও হতে পারে! তুই ঠিক ধরেছিস দিদি। তুই ছাড়া ওর মনের কথা কে এমন করে ধরতে পারবে বল ? গাদা খুশি হয়ে বলে, না। এবার পালাই। মা টের পেলে ধুয়ে দেবে। নন্দের বোন গঙ্গা মাঝখানে একবার ভেতরের দরজায় উকি দিয়ে তাকে ডেকে গিয়েছিল। তাড়াতাড়ি কথা সেরে আসতে ভিতরে গিয়ে খানিক পরে গঙ্গার সাথে সে বেরিয়ে আসে। ଅରର