পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনায়াসে নাই বা ঘটল, প্রাণপাত করতে লে তো অরাজী নয়, কষ্ট করেই সে নয় পথ খুজে নেবে। মহিমের কথাবার্তা থেকেও এটা বােঝা গিয়েছিল। কি করবে কিছুই সে। ভেবে আসেনি। একটা কিছু করবে। যেমন হোক একটা কিছু। , , , বিরাট শহর বিপুল সমারোহ বিশাল জনসমূদ্র তাকে দমিয়ে দেয়নি বায়ং আশা আর উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে এমন অসংখ্য রকম উপার্জনের উপায়, সেখানে তার কি একটা উপায় হবে না ? শহর অবশ্য তার একেবারে অজানা অচেনা ছিল না। অনেকবার এসেছে, দু-চারদিন থেকে গিয়েছে। কিন্তু সে যেন ছিল অন্য একরকমভাবে আসা আর যাওয়া-পরের মত একটু শুধু উকি মারার জন্য। এবার সে এসেছে শহরের আপন হাতে, শহরের লাখ লাখ মানুষের সংখ্যা আরেকটি বাড়াতে, স্থায়ীভাবে এখানকার জীবনস্রোতে মিশে যেতে । সে বলেছিল, উহু কিছু না করে বাড়ি ফিরছি না। কৈলাসদ । এসে ভালো করেছি। আর কত সয়ে গাঁয়ে পড়ে থাকা যায় বল তো ? নিজের বৌকে একটা কাপড় দিতে পারি না, অপমান হতে হয় ! সেলাই-করা ছেড়া কাপড় ফেঁসে যাবে আর রাত দুকুরে কঁদোকাটা গালাগাল শুনতে হবে। কৈলাস ব্যাপারটা অনুমান করে বলেছিল, বটেই তো । আদর করতে বৌকে টানব, তার কাপড় যাবে ফেসে। আদর করা চাঙে উঠবে, বৌ রেগেমেগে কেঁদো-কেটে খালি বলবে, একটা কাপড় দেবার মুরোদ নেই, গোয়ারের মত গায়ের কাপড়টুকুও ফঁাসিয়ে দিতে পারেন। বল তো কৈলাসদা ? মানষের সহ্যু হয় ? বটেই তো । তাও আবার যেমন তেমন বৌ নয়, ভালবেসে বিয়ে করা বেী। মহিম গিয়েছিল চটে । তোমাদের মুণ্ড করা বেী ! কোখেকে তোমাদের মাথায় যে ঢুকল এটা ! বিয়ের আগে চেনা ছিল, ব্যস, আমনি পীরিত হয়ে গেল ? এ নিয়ে তামাসা করলেও মহিম বরাবর চটে গিয়েছে। কারণ বোধ হয় সে eVD