শহরে ফিরবার পর কেমন একটু আনমনাভাবে মহিম সকলের খবরাখবর জিজ্ঞেস করেছিল, খানিক উশখুশ করে আচমকা সুস্পষ্ট উদাসীনতার ভান করে। শুধিয়েছিল, রায়দের বুনোবাবু গায়েই আছে নাকি ? ? · · যেন কথার কথা জিজ্ঞাসা করা, আর কোন মানে নেই, এমনি একটা ভাবদেখাবার চেষ্টা করেছিল মহিম। ভিতরে চমক লেগেছিল। কৈলাসের, বাইরে সহজভাবেই বলেছিল, গায়েই আছে। আঁঠুমুখে ভুগছে খুব। की अश्श ? জ্বর আমাশা। মোদের ডাক্তার দেখছে। ব্যাটার মরাই ভালো। খালি বাবুগিরি। আর বাজ্জাতি। নিজের বড় ভায়ের বিধবা বৌটাকে নিয়ে পর্যন্ত— কৈলাস ধমক দিয়েছিল, ছি মহিম, ছি। তুইও শেষে শোনা কথা নিয়ে শুরু করলি ? লোকটা তো বজাত ? সেটা কি তার ভাজের দোষ ? তোমার বীেয়েৰু দিকে নজর দিত, ওকে তোমার যত খুশী গাল দাও। আরেক বেচারা দুটো पॄष्ठ নিয়ে ওর সংসারে মুখ গুজে আছে, তাকে মন্দ বলবে কেন ? মনটা খারাপ হয়ে যায় কৈলাসের । মহিমের এ কি রকম কথাবার্তা ? গাদার উপর সহজ বিশ্বাসের জোরে এই তো সেদিন বুনোবাবু লোক ভাল কি খারাপ এ প্রশ্নটাই সে অনায়াসে তুচ্ছ করে হেসে উড়িয়ে দিতে পেরেছিল। খারাপ লোকে নজর দিলেই গায়ে ফোস্কা পড়বে না। গাদার। বুনোবাবু হাজার চেষ্টা করেও এতটুকু পাত্ত পাবে না। তার গাদার কাছে। গাদায় মন কেউ নরম করতে পারবে এটা একেবারে হাস্যকর কথা । সেই মহিম এভাবে বুনোবাবুর খবর জিজ্ঞাসা করছে, বুনোবাবু বজাত বলে । LL KB SDD DD BBYS দিন যায়। কত তাড়াতাড়িই যে নানাদিকে চোখ খুলতে থাকে মহিমের। S o GW
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১১৫
অবয়ব