পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক্সপেরিমেন্ট ? তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করাও যে শুভর একটা একসপেরিমেন্ট ছাড়া কিছু নয় নন্দর তা ভাল করেই জানা আছে। তবু তাকে দিয়ে একরকম সোজাহাজ একসপেরিমেন্ট করার প্রস্তাবে নন্দর অপমান বোধ হয়। সেকি বৈজ্ঞানিক শুভর কাছে ইদুর-খরগোসের সামিল ? ኯ፧ কয়েক মুহূর্ত কথা বলতে পারে না। রাগ হলে কথা বলাই তার স্বভাৰ । তারপর সহজভাবেই বলে, আচ্ছা বেশ, যাব। শুভক্ত. তাকে নিয়ে একসপেরিমেণ্ট করতে এত উৎসাহী, সেই বা শুভদ্রুে নিয়ে ঐকসপেরিমেণ্ট করবে না কেন ? বারতলার জমিদারবাড়ি যার দেখা আছে জগদীশের কলকাতার বাড়ি দেখলে তার চোখে পলক পড়বে না । ষে মানুষটা বছরের বেশীর ভাগ সময় বারতলার ওই মন্দির চত্বর দপ্তর অন্দরে ঘেরা দীঘিওলা সেকেলে বাড়িতে থাকতে ভালবাসে সে কি না মাঝে মাঝে শহরে এসে বাস করার জন্য মডার্ন প্যাটার্নের এমন বাড়ি তৈরী করেছে যে আধুনিকতার সেই বাড়াবাড়ির মধ্যেই যেন ফুটে বেরিয়েছে তার গ্রাম্যতা। ভিতরে গ্রাম্যতার কিছু কিছু প্রকাশ্য নিদর্শনও আছে। বাড়িতে ঢুকেই সেটা নন্দর চোখে পড়ে গিয়েছিল। শুভর সঙ্গে সে এসেছিল দিনের বেলা অতিথি সমাগমের অনেক আগে । দুপুর বেলাই বলা চলে। বাগানে কাজ করছিল উড়িয়া মালী । হঠাৎ ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সাবিত্রী ব্যস্ত ভাবে ব্যাকুল ভাবে কি যেন বলল তাকে। বাগানের ওপাশে চাকর বামুন মালীদের জন্য এক ইটে গাঁথা কয়েকটা কুঠরি । তারই একটার মধ্যে ঢুকে খানিক পরে মালী বেরিয়ে এল পোকায় কাট পট্টবস্তু পরে কঁাধে নামাবলী বুলিয়ে খালি পায়ে । বাগানে কাজ করার সময় তার গায়ে মোট ধবধবে পৈতেটা নন্দর চোখে পড়েনি। ওটাও বোধ হয় তোলাই থাকে। খানিক পরেই বাড়ির ভিতর থেকে শোনা গিয়েছিল। শঙ্খ-ঘণ্টার শব্দ । Σ Σβε