পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিতরে এতদিন ধরে ধুলো জমা হয়েছে, দেখে আসবার কিছু নেই। সে জানত। না এখনও ওখানে তারই কিছুকাল আগের একটা বাস্তব শিল্প-প্রচেষ্টা-মর-মর জগদীশ ভুলেও ছেলের কাছে নবশির মন্দিরের কথা উল্লেখ করে না । কারখানাটা একেবারে বন্ধ করে না নিয়ে কিছু কিছু কাজ ৰে। সে চালু রেখেছে ছেলেকে একথা জানাতে জগদীশ সাহস পায় না। কে জানে সে চুটে যাবে কিনা, যা মতিগতি হয়েছে ছেলের । বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে আদর্শ ভেঙে গেছে, চেষ্টাও শেষ হয়েছে, ব্যাপারটা চুকে বুকে গিয়ে দাড়িয়েছে অতীত জীবনের একটা ভুলে । সামান্য লাভের জন্য এমনভাবে জোড়াতালি দিয়ে সেই ভুলের জের টেনে চলা ! হয়তো ক্ষেপেই যাবে শুভ। সামান্য হলেও লাভ হয়। একটা পোন্যেরাও হিল্পে হয়েছে, কাদম্বিনীর ছেলে বঙ্কিমের। সে কারখানাতেই থাকে, কাজকর্ম দেখাশোনা থেকে তৈরী মালা চালান দেওয়া পর্যন্ত সব কিছু সে-ই করে। জগদীশের কোন হাঙ্গামা ८°ङ श' ब ।। ". শুভ কি এ হিসাব বুঝবে ? যথেষ্ট সন্দেহ আছে জগদীশের। হয়তো বঙ্কিম তার নবশিল্প মন্দির চালায় এটা শুনেই তার মাথা বিগড়ে যাবে। দি গ্রেট ইউনিটি সার্কাস নেমেছিল বারতলা স্টেশনে। প্রতি বছর। এসময় প্রকাণ্ড মেলা বসে বারতলায়, তিন দিন একটানা মেলা চলে, দূর থেকেও দলে দলে মানুষ এসে এসে ভিড় বাড়ায়। খাস কলকাতা শহর থেকে পর্যন্ত লোক আসে গায়ের এই মেলায়। শুধু দেখতে নয়, শস্তায় এটা ওটা কিনতেও বটে। যাতায়াতের খরচ ধরলে অবশ্য শস্ত হয় না মোটেই, কলকাতায় বসে কেনার চেয়ে বেশী পড়ে যায় দাম । কিন্তু যাতায়াত তো জিনিসগুলি কেনার জন্য নয়-মেলা দেখার আনন্দের জন্য। সেইজন্য শস্ত হয়। গায়ের মানুষ যেমন কলকাতায় দেখতে যায় বারোমেসে শহুরে মেলা ఖరి ملتا