পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে সোনার রূপার থাল-বাটিতে খায় তার কেন কঁাসার বাসন তৈরী করা বিক্রী করা নিয়ে এত কৌতুহল ? একটু ভয়ও করছিল গোষ্ঠীর। এমন সময় লক্ষ্মী এসে তাকে রেহাই দিল । লক্ষ্মীর গেলাসটা কেন হয়েছিল। হাতেই ধরা ছিল জিনিসটা । পয়সা কম পড়ায় আগের দিন। কিনতে পারেনি। গেলাসটা কিনে ছাড়লে ? কী করি । ছ-মাস ধরে কিনব কিনব করছি, অ্যাদিনে কেনা হল । অনেকে পয়সা জমিয়ে জমিয়ে বাসন কেনে, না ? কেনে না ? এমনি মেলায়-টেলায় কিনবে বলে অনেকে ছ-মাস এক বছর। আগে থেকে পয়সা জমায়। নইলে গরীবের সংসারে কজন বা করে নগদ বার করতে পারে বলুন ? একটু থেমে বলে, শুধু বাসন কেন, অনেক কিছুই এমনি ভাবে কিনতে হয়। একটা জিনিস চাই, জোগাড় করতে দু-তিন বছরও লেগে যায় কারো কারো ! বলে সে একটু হেসেছিল, কেউ কেউ অবিশ্যি সারা জীবনেও জোগাড় করতে পারে না । তার সে হাসির মানে বোঝেনি শুভ, একটু ক্ষুন্ন হয়েছিল। তাকে দেখে লক্ষ্মীরও কি গা জ্বালা করে ? তার ধারে কাছে না এসেও তার নাম শুনেই যেমন জ্বালা করে অনেকের বুক ? গাড়ির পার্টস খুলে নিয়ে তাকে জব্দ করতে চাওয়ার ঘটনা তুচ্ছ হয়ে গেছে নন্দর ডিসপেনসারিতে লুকিয়ে চাষীদের কথাবার্তা শোনার পর থেকে। সেদিনের অভিজ্ঞতায় নিজের বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞান এবং আরেকটি অগ্রসর জগৎ সম্পর্কে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুচ্ছ বা বাতিল হয়ে যায় নি। কিন্তু প্রাণে তার শেল বিধেছে। কৈলাস শুধু তার মনুষ্যত্বটুকু মানতে বলেছিল ওদের। এতবড় বৈজ্ঞানিক, হোক সে জমিদারের ছেলে, ওকে অন্তত তোমরা মানুষ বলে গণ্য করা ! এটুকুও মানতে পারে নি। তারা। NA \SV2