হলে তাকে তো শের্ষে দায়িক করবে না। শুভ ? ‘কথা হয় মেলায় ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে, লক্ষ্মী অস্বস্তি বোধ করে কিন্তু শুভয় যেন কোন দিকেই খেয়াল নেই। মাটির ভীড়ের প্রসঙ্গে প্রায় জেরা করার ভঙ্গিতে শুভ জিজ্ঞাসা করে, বাসনও তো তোমরা দামী সম্পত্তি মনে করা ? সে জবাব দেয়, গয়নার পরেই বাসন। তবে একটা কিন্তু আছে। এতে। গয়না ছাড়া দিন চলে, বাসন ছাড়া রাধাবাড়া খাওয়াদাওয়া বন্ধ। গয়না শুধু গয়নাই, বাসনটা দরকারী। ভাত কাপড় ঘর, তার পরেই বাসন। শুভ বলে, মাটির হাড়িতে কিন্তু ভাত রাধা যায়। কলাপাতে খাওয়া যায়। সে হেসে জবাব দেয়, গাছতলায় নেংটি পরে থাকা যায়। পুরুষের একটা নেংটিতেই চলে, মেয়েদের দুটো লাগে। তাই তো বলি ছোটবাবু, আমরা যেন হিসেবের শেষ কড়ার কড়ি দাড়িয়েছি । কঁাসার একটা বাসন। কিনলে ধারণা হয়, তবে তো এরা গরীব নয়, না খেতে পেয়ে মরছে না, চাল না কিনে কঁাসার গেলাস কিনছে আজও ! এ যে কী মুশকিল হয়েছে মোদের, কি বলব আপনাকে ছোটবাবু! চাল খেয়ে নাকি মানুষ বঁাচে ? মানুষ কি গরু যে তার জল খেতে গেলাস লাগবে না ? আরও কত কথা সে বলে ফেলত কে জানে । গাদা এসে তার নাগাল ধরার মতই আঁচল চেপে ধরে কথাবার্তা থামিয়ে দেয়। বাঃ রে লক্ষ্মীদি বেশ ! মোকে ফেলে পালিয়েছ ? তোকে আবার ফেললাম। কখন ? শাউড়ী-ননদের সাথে লটারি খেলছিসদেখলাম তো তুই । এত দেখলে, মোর ইসারাটা দেখলে না ? ওদের সাথে মেলায় আসার সুখ আছে আধ ছটাক ? জানলে না যে কাটিয়ে পড়ে তোমার সাথে ভিড়তে চাই ? গেলাস কিনে ফতুর হয়েছি। গাদা। বেশ করেছ। এস না লক্ষ্মীদি । আঁচল ধরে টেনেছিল গাদা । v S\r
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪৪
অবয়ব