পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারতলা স্টেশন এলাকা আবার সরগরম হয়ে উঠেছে নৰশিল্প মন্দিরের নবজন্ম লাভের প্রক্রিয়ায়। r" . . খবরটা রটে গেছে চারিদিকে। কারখানার অদল-বদলের কাজ হতে না হতে শুধু ব্যাপার জানতেই যে কত লোক আসে, কাজ বাগাবার আশায় আবির্ভাব ঘটে কত বেকারের ! একদিন সকালের গাড়িতে আসে তিনজন মাঝবয়সী লোক। দুজনের “গায়ে ছিটের হাত-কটা ছোট সার্ট, একজনের পায়ে চটের মত শস্ত ক্যান্বিশের জুতো, অন্য দুজনের ছেড়া চটি । গজেনের দোকানে বসে তার চা খায়, বিড়ি কিনে টানে । কারখানা সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞাসা করে গজেনকে । বাসন তৈরি করে বেচা তাদের তিনজনেরই বংশগত পেশা। শুভর কারখানা “স্থাপনের খবর শুনে ছুটে এসেছে উদ্বেগ ও আশঙ্কা বুকে নিয়ে। শুভ তাদের না জানুক, বারতলার জমিদারের ছেলেকে তারা চেনে । এত লেখাপড়া শিখে শেষে এসব বুদ্ধি মাথায় ঢুকল ছেলেটার ? জগতে এত জিনিস থাকতে বাসনের কারখানা করার শখ ! তাদের মধ্যে একজনের রং বেশ ফর্সা, কটা চোখ । তার নাম গোষ্ঠ । । মেলায় তাকেই শুভার বাসন সম্পর্কে জেরা করেছিল। সে সখেদে বলে, এ তো স্রেফ মোদের অন্ন মারার ফিকির ! গজেন সায় দিয়ে বলে, বটে তো । মানুষের অন্ন মারার ফিকির ছাড়া বাবুদের কলকারখানা ব্যবসা চলে ? হাতের কাজ কলে করিয়ে একজন ঘাড় ভাঙবে 而*丐可可1 তিনজনে তারা পরামর্শ করে নিজেদের মধ্যে । গোষ্ঠ জিজ্ঞাসা করে গজেনকে, ছোটবাবুইদিকে আসেন। কখন ? এইবার আসবে। সারাদিন এখানেই থাকে। একেবারে কোমর বেঁধে উঠে পড়ে লেগেছে । তারা শুভর। প্রতীক্ষায় বসে থাকে । S 8 R