পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালো মনে করেছে তিনজনে । শুভ যেন না মনে করে যে তাদের তিনজনের দরবার করতে আসার মধ্যেই এ ব্যাপারের আরম্ভ আর শেষ । - f সহজে তারা ছাড়বে না । , শুভ কারখানার ভিতর চলে গেলে গজেন তাদের ডেকে দোকানে বসায় । বিনয়ী সুখন মন্তব্য করে, ব্যাটাচ্ছেলে ভারি চালাক। দারোগার মত কেমন জেরা করলে দেখেছি ? গোষ্ঠ বলে, বিলেত থেকে শানিয়ে এয়েছে, বাপের চেয়ে বুদ্ধি চোখা । গজেন বলে,-ছেলেমানুষের কঁচা বুদ্ধি তো, এমনি কত খেয়াল জাগবে। এ খেয়ালটা যে সাবাড়ি করবে। মোদের ! এই সংঘাত অনিবার্য ছিল এবং সুখনদেরও বিপদের এই সুত্রপাতিকে এড়িয়ে যাওয়া ছিল অসম্ভব। বড় শিল্প গড়া যখন সম্ভব নয়, বরং দেশে ঠিক তার বিপরীত অবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকায় বড় শিল্পের মাঝারি সংস্করণগুলির আত্মরক্ষাই দায় হয়ে উঠেছে, তখন মহৎ সংকল্প আর উদার সদিচ্ছার যুক্তি দাড় করিয়ে অরক্ষিত কুটিরশিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামা ছাড়া শুভদের গতি কি ? শুভর। প্রতিভা আছে মানতে হবে। মুখে যাই বলুক, মনে যাই ভাবুক, সে উন্মুখ অসহিষ্ণু হয়ে তল্লাস করছিল কি করা যায়, কোন লাইন ধরা যায়। মেলায় বাসনপত্রের কেনাবেচা দেখে আর লক্ষ্মীর সঙ্গে কথা বলে দেশের মানুষের কাছে সোনারুপার আভরণের পরেই যে সংসার করার পিতল-কঁাসার উপকরণগুলির দাম এটা উপলব্ধি করেই সে ঠিক ধরে ফেলেছে কোন কুটিরশিল্পটা গ্রাস করা সুবিধা । এদিকে খুব বড় একটা অঞ্চলের গ্রামনগরে আজ পর্যন্ত বাসন উৎপাদনের শুধু পুরানো ব্যবস্থাটাই প্রায় অনাহত ছিল। ছোট ছোট ঢালাই-পেটাই-এর ঘরোয়া কারখানাগুলিই এদিকের অধিকাংশ মানুষের বাসনের চাহিদা মিটিয়ে qCric পাল্লা দিয়েছে নাম-করা জায়গার ভাল বাসনের সঙ্গে । እ8 ግ