কাহিল সে হয় নন্দর কাছে । তার এই শিল্পপ্রচেষ্টার মহত্ব এবং শুরুত্ব দুটোই স্রেফ বাতিল করে দেয় নন্দ । তবে নন্দর সঙ্গে কথা বলে একটা সুবিধা হয় শুভর। পরদিন সুখনদের কি বলবে সেটা আন্দাজ করতে পারে । নন্দ তাকে সোজাসুজি বলে, করছ কর, তুমি না করলে আরেকজন করত। ওসব বড় বড় কথা বোলো না ! সুখনরা বাসন বানিয়ে কিছু লাভ করছে, তুমি বাসনের কারখানা করে তাতে ভাগ বসাতে চাও । এছাড়া আর কোন মানে নেই তোমার বাসনের কারখানার। শুভ ক্ষুন্ন হয়ে বলে, কি রকম ? রকম খুব সোজা । শিল্পের কঠিন ব্যারাম, গড়ছেও না বাড়ছেও না । বিদেশীরা মুনাফা খাচ্ছে আর শুধু কটা দেশী রুই,কাতলার মূনাফার পাহাড় জমছে। তোমাদের মত যারা দেশের শিল্পোন্নতি করে কিছু লাভ চাও, তোমরা কোন দিকে যাবে, কি করবে ? দুটো মোটে রাস্তা। চোরাবাজারে নেমে চুরির মুনাফায় কিছু ভাগ বসানো নয়তে কুটিরশিল্পের ঘাড় ভেঙে ছড়ানো লাভের কিছুটা মেরে দেওয়া ! তুমি শেষটা করছি। তোমার কিছু মুনাফা হবে, কিন্তু তোমার বাসনের কারখানা দিয়ে দেশেব সম্পদও বাড়বে না, লোকের কোন উপকারও হবে না । আমি শুধু মুনাফা চাই ? মনে চাও না, কাজে চাইছ। তুমি যে অনেস্ট ! শুধু মুনাফাখের হলে তো চোরাবাজারেই নেমে যেতে । ওটা পারবে না বলেই এ পথ নিয়েছ । নইলে বাসনের কারখানার এখন কি দরকার পড়েছে দেশে ? লোকে তো বাসন পাচ্ছেই-অবশ্য যে কিনতে পারে। ঘরের বাসন যারা বেচে দিচ্ছে তাদের कथ| बभ्र (छ्फुरे व्लिभ । শুভ একটু গুম খেয়ে থাকে। কারখানা করার নৈতিক ভিত্তিটা এমন সরাসরি উড়িয়ে দেওয়ায় সে চটেছে। গোঁয়ে ডাক্তার, সবজান্ত হয়েছ, তোমার সব একঘেয়ে একপেশে কথা । S8s
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৫
অবয়ব