পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যি নাকি ? লক্ষ্মীর কাছে আশ্চর্য দুর্বোধ্য লেগেছিল তার এমনিভাবে ঘাবড়ে যাওয়া ! চাষাতুষোর সঙ্গে ভাব করতে চায়, ঘনিষ্ট হয়ে জানতে বুঝতে চায় তাম্নোক্স হৃদয়মন, এটুকু সাধারণ বুদ্ধি শুভর নেই? জগদীশের ছেলে গজেনের মেয়ের সঙ্গে মেলায় রাস্তায় এখানে ওখানে এত আগ্রহ নিয়ে এতক্ষণ ধরে কথা বলছে দেখেও-শুধু প্রকাশ্যভাবে কথা বলছে বলেই লোকে চুপ করে থাকবে, এই শেষে ধারণাহুল্যতার? লোকে তো বলবেই। তারা কি জানছে আপনার আমার কথা ? জানিছে যে আপনার মাথায় বাসন ঢুকেছে, আপনি বাসন নিয়ে পাগল, আমার সাথে শুধু বাসনের কথা বলেন ? খাপছাড়া ব্যাপার তো হচ্ছে এটা ? দশটা দুঃখী মানুষ বুঝবে কি করে বলুন ? লক্ষ্মীর গলা কেঁপে যায় । বলছে বলুক, আমি গা করি না। কারখানা যদি গড়তে পারেন, দশটা লোক খেতে পায় কারখানা থেকে, কি আসবে যাবে লোকে একটা অসম্ভব কথা বানিয়ে বললে ? কি জানেন, খাপছাড়া কিছু দেখলে লোকে যন্তরের মত মানে করে বসে, বিচার করে দ্যাখে না । ছোটবাবু নজর দেবে লক্ষ্মীর দিকে, তাও যদি কচিকঁচা হতাম। কি বিবেচনা মানষের, বলিহারি যাই! শুভর মুখ দেখে লক্ষ্মী ভড়কে যায়। খাবড়ে গেলেন না কি ছোটবাবু? না না, আপনি মোটো ভাববেন না। আপনার তো বদনাম হয় না । লোকে যদি হাসাহসি করে তো মোকে নিয়ে করবে। তা করুক গে যাক। আমন আগেও করেছে। পরেও করবে। শুভর বুক কেঁপে গিয়েছিল। একটা তোলপাড় উঠেছিল হৃদয়ে। তবে অল্পক্ষণের মধ্যেই সেটা মিলিয়ে যায়। মনপ্রাণ তার ডুবে গেছে কাজের মধ্যে, নতুন কিছু গড়ে তোলার চেষ্টার মধ্যে। তবু লক্ষ্মীর কাছে আচমকা তাদের নিয়ে কথা রটেছে শুনে ভিতরটা তার মোড়ামুড়ি দিয়ে উঠেছে। বংশগত রোগ । রক্তমাৎসমাজজায় মেশানো রোগ। চমক লাগার মত মাঝে মাঝে অতর্কিতে শুভর ভয় করে, বুক কেঁপে ওঠে। ” > @しア