বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তালি-দেওয়া জীর্ণ কােপাসে আধ-ঢাকা মূৰ্তিমতী বিদ্ধ। পুরাণে নজির আছে, পিনাক সামন্ত ভাবে খুশি হয়ে, অজুনের তপস্যা ভাঙতে এমনি ভাবে এসেছিল উর্বশী-মেয়ে গুলো মরে না, এই যুবতী মেয়েগুলো ? কেন গাল দিলি ? আমি ডেকেছি তোকে ? মা বলল না। ডাকতে ? নিজে যদি এসে ডেকে থাকি তো—নাকের জল চোখের জল খেতে খেতে কথা বলতে গিয়ে বিষম লাগে হারানির । আচমকা অন্দরের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে ঠাস করে গালে তার একটা চড় বসিয়ে দয়া তাকে ভেতরে টেনে নিয়ে যায় । ভিতরে যাওয়া মাত্র পিসীও বোধহয় গুম গুম করে কয়েকটা কিল বসিয়ে দেয় মেয়ের পিঠে । এরা দুদিনের অতিথি। সদরে মামলা করতে গিয়ে লোচন সঙ্গে এনেছে। তামাক কেনার নগদ পয়সা নেই, তবু এনেছে। সঙ্গে আসার জন্য জিদ ধরেছিল মোহন। তা সে এলে পিসীকেও আসতে হয়, মা-মরা ছেলেটা ভিন্ন পিসীর কাছে জগৎসংসারে সব কিছু মিছে –ওই হারানি ছাড়া। পিসীর কি সোজা জালা ? একদিনের জন্য চোখের আড়াল করতে পারে না বোকা-হারা মেয়েটাকে । বোকা নোংরা, নাকে সর্বদা সিকনি করেছে। কিন্তু বয়সকালের দেহটা হয়েছে যেন মুনিঋষির পদ স্থািলন ঘটবার মত। এ মেয়ে হাবা হয়ে যে কি বিপদ ঘটেছে পিসীর । পুলিন জিজ্ঞাসা করে, মোহনের বাপ কি করে হে সদরে ? মধু কুলি খাটে একটা জুতার কারখানায়। লোচন নিবিবাদে বলে, 6ाकोiन्म आigछ । কিসের দুকান ? লোচন চুপ করে থাকে। ফকির বলে, শুনি তো কত কাল মধু না কি দুকান করে, তা দুকানটা কিসের ? কি জানি কিসের দুকান। এবার রেগে বলে ভূষণ । আঃ হাঃ, তোরাব বলে জোর দিয়ে, দুকানের কথা যাক। ধরণীর দুটো SS