পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यां बgलछ দাদা। ফাটক দিক মারুক কাটুক কয়ে Cዏኮቫ | ፵ኮኞቐ হাট, মরে আছি! কেন বাবা মরে রইবো ? খালি খালি মরে রইবো ? মারতে জানি না। দুঘা দিয়ে ? বলি কি-রাজেন বড় গভীর, গলার আওয়াজ গমগমে,-চলে। তবে আজ রাতেই যাই। কথা। তবে শুনে রাখে। কিন্তু, লুঠবে গিয়ে এক সাথে, তার পর যে যার সে তার দায়িক । ধান নিয়ে চটপট সরে পড়বে। ঘরে রাখবে না। ধান। । কোথা রাখব ?-এক জন শুধায় । তাও জানো না ?-রাজেন বলে হতাশায় অবজ্ঞায়,-ধান ফেলে রাখবে বনবাদাড়ে, বঁাশঝাড়ে, জঙ্গলে, ডোবার ধারে । খানিক বরবাদ যাবেই, উপায় কি ? মনে হয়, ধরণীর খামার আজ রাত্রেই লুঠ করা বুঝি সাব্যস্ত করে ফেলেছে। তারা। এখন সমস্যা হচ্ছে শুধু এই যে লুঠের ধান কোথায় রাখবে, কি করবে। পিণাক তিনু তোরাবি মধু এর কজন উৎসাহ বোধ করে, অন্য সকলে উসখুসি করে অস্বস্তিতে। ধান লুঠের প্রস্তাবটা যে একান্ত অবাস্তব স্তরে রয়েছে এটা অবশ্য অনুভব করে সকলেই । রাত্রে গোপনে আচমকা হানা দিয়ে লুণ্ঠপাট করতে পারে। পাচসাত জন মরিয়া মানুষ, কটা গায়ের চাষীদের প্রতিনিধি হয়ে কি ধান লুঠ করতে যাওয়া চলে ওভাবে ? চাষীরাই তো সায় দেবে না ! রামপুরে দিনের বেলা পাঁচ সাতশো মানুষের চোখের সামনে খামারের ধান বার করে ওজন করে ন্যায্য দরে বিলি করা হয়েছিল । সে আলাদা কথা । কৈলাসের দিকে চেয়ে লক্ষ্মী বলে, এ কেমনধারা কথাবার্তা ? ধরণীর ঠেয়ে অপমান হয়ে রাজেন খুড়োর নয়। গায়ে জ্বালা ধরেছে কৈলাস তাড়াতাড়ি বলে, আহা, জালা যে জন্যই ধরুক না, কথা তো তা নয় । জ্বালা না থাকলে দশজনের সাথে হাতে মেলাতে আসবে কেন ? তবে ধান লুঠের কথাটা কোন কাজের কথা নয়। Sዓ ዓ ইতিকথা-১২