শুনে সকলে স্তব্ধ হয়ে যায়। অস্তি বোধ করে। ' ' কৈলাস বলে, রামপুরের দিকে গেছলাম ওবেলা, শুনে এলাম খুটিনাটি। দিমের বেলা পাঁচ সাতশো লোক গিয়ে ধান বার করে বিক্রি করেছে সবার সামনে ওজন করে, টাকা দিয়েছে বড় কর্তার লোকের হাতে। পয়সা যে নগদ দিতে পারে নি খাত লিখে দিয়েছে,-ফসল উঠলে ধান দেবে, স্বাদ দেবে। কোন হাঙ্গামা হয়নি। তবু তাণ্ডব চলছে রামপুরে কদিন ধরে। ধান বার করেছিল শ”দুই মণ, দোষী নির্দোষীর ঘর থেকে ছিনিয়ে ছিনিয়ে চারশো পাঁচশো মণ ধান খামারে তুলেছে। কয়েদ হয়েছে সত্তর আশী জনা । কত জনার হাড় ভেঙ্গেছে মাথা ফেটেছে বুঝতেই পার, বলে আর কাজ কি ? পিনাক বলে, সবাই এক হয়েও রুখতে পারলে না ? কৈলাস হাঁটুতে চাপড় মেরে বলে, ঠিক এই কথাটা বুঝতে হবে মোদের আজ। একটা গা এক হয়ে জমিদারের লোক রুখতে পারে বটে। কিন্তু সৈন্যপুলিস রুখতে পারে ? ধরণী বল, বড়কর্তা বল, চোখের সামনে ওদের দেখছি। ওদের কে বসিয়েছে ওখানে, কার জোরে দাড়িয়ে আছে, সেটা না দেখলে হয় ? দেখতে গেলে সরকার থেকে পৌছবে গিয়ে সেই ইংরেজ-মার্কিন কর্তা তাক । এমন মোদের স্বাধীন দেশ । না খেয়ে মরব। তবে ? ধরণীর ধান লুঠে তো পেট ভরবে না। হাঙ্গামাই সার। পেট ভরবে না, পিঠে লাঠি মারার সুযোগ দেয়া শুধু। সবাই যাতে সায় দেবে না। সে পথে किकू श्यांब्र मश्र। লক্ষ্মী নিজে যতটা পারে উস্কে দিয়েছে প্রদীপের সলতেটা । ভাল ঠাহর না। করলেও বুঝতে পারে ভেতরে ঝড় উঠেছে, থমথম করছে কৈলাসের মুখ । লক্ষ্মীর ভেতরেও মোচড় দেয় । কৈলাস কি ভাবছে সে জানে । কিসে হবে না তা তো বলে দিল । কিসে হবে ?-এ প্রশ্নের কি জবাব দেবে ! সবাই এক হলে হয়-এ জবাব শুনেছে সবাই। ওটা আর প্রশ্ন নেই। কিসে সবাই এক হবে, এক হবার উপায়টা কি, এই হল জিজ্ঞাসা । S ዓb”
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮৪
অবয়ব