পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলে দরকার মনে করলে সে কথাও বলে, পরামর্শ দেয়, দায়িত্ব, নেয়-কিন্তু বেশ বোঝা যায়, গরাজটা তার নিজের নয় । মোটেই এটা নিরহংকার ভাব নয়। তার কথার কতখানি দাম পাঁচজনের কাছে সেটা জেনেও গর্ব পরিহার করার মহাত্মাজনোচিত নম্রতা নয়। ওসব বৈষ্ণবী দীনতার ধার সে ধারে না। অথচ প্রায় নেতার মতই বিশ্বাস ও স্বীকৃতি পেলেও একেবারেই নেতার মত ব্যবহার না করাটা তার পক্ষে সহজ ও স্বাভাবিক হয় এইজন্য যে সহজ ও স্বাভাবিকভাবেই সে দশজনের একজন হয়ে দশজনের সঙ্গে চলতে পারে। নিজেকে জাহির না করা আলাদা জিনিস । সেটা সচেতনভাবে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখা, গুটিয়ে রাখা-সংযম বলেই সেটা চেষ্টা করে করতে হয় । এই বিশেষ সংযমের প্রযোজন কৈলাসের হয় না। অনায়াসে বিনা চেষ্টায় নিজেকে জাহির না করাটাই তার প্রকৃতি । বখাউল্লা নামে একজন পুরুষ আমিনা নামে একটি নারীকে তালাক দিয়েছিল । তার নিকা হল নাজোরের সঙ্গে । কৈলাস যে প্রেসে কম্পোজিটারি করে নাজের সেখানে মাইনে-করা দপ্তরী ; কলকাতার মুসলমান দপ্তরীদের আস্তানাগুলি প্রায় শূন্য হয়ে গেছে বাংলা ভাগ হবার পর, চাকরি বলেই নাজের টিকে আছে। সাধক ত্রিভুবন দত্তের ছেলে কৈলাস ওই নিকা উপলক্ষে নাজোরের বাড়ি ভোজ খেয়ে যেন প্রথম জানতে পারল যে মুসলিম সমাজে তালাক এবং নিকা আছে! জানা কথা ঘনিষ্ঠভাবে জানল বলেই বোধ হয়। তার আপসোসের ধরনটা বিচলিত করে দিল লক্ষ্মীকে । কীভাবে মিছিমিছি আমাদের দিনগুলি নষ্ট হচ্ছে বল তো ? তুমি রাজী হবে না। তাই, নইলে তুমি পারবে ? ধর্মের সুযোগ নিতে ? কেন পারব না ? সব ধর্মই ধৰ্ম । Stro