বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মী বলে, বটে ? লক্ষ্মীর মন সায় দেয়নি, তোমার খাতিরে রাজী হল, এসব ভেবে দরদ জাগল বুঝি ? পিছিয়ে যেতে চাও? কৈলাস বলে, খালি নিজের কথাই বলে গেলাম। পুরুষ মানুষ, বাপ শাস্তর জানে, নিজে খানিক ইংরেজি শিখেছি। একটু ভালবাসি বলে ধরে নিয়েছি, একেবারে পোষ মানিয়ে ফেলেছি তোমাকে । লক্ষ্মী একটি হাসে। আবার আঁচল খুলে একটি পান কৈলাসের হাতে দিয়ে বলে, ভাত খেয়ে খেও । জর্দা দিয়ে সাজা-শুভবাবুর বােন এক কৌটা। জর্দা উপহার দিয়েছে। আমাকে নিয়ে শুভবাৰু আর মায়ার চটচটির ব্যাপারটা ভালো করে শুনতে এসেছিল। ওরা কি বল তো ? নিজেদের মধ্যে এত অবিশ্বাস ? মায়ার কাছে শুনেছে, নিজের ভায়ের কাছে শুনেছে,-তবু এসে বলে কি, ওরা নিশ্চয় আসল কথা চেপে গেছে ! মন ঠিক করে ফেলেছে। মনটা কিন্তু নিরুদ্বেগ করতে পারে না লক্ষ্মী। তার কেবলি মনে হয়, হিসাবে মস্ত একটা গলদ রয়ে গেছে তাদের, বিশ্রী একটা ভুল তারা করতে চলেছে, একেবারে সর্বনাশ হয়ে যাবে তাদের। জীবনে আর মাথা তুলতে পারবে না। কৈলাস। মানুষটা ধ্বংস হয়ে যাবে। না, বুদ্ধি ঠিক নেই কৈলাসের। তার আশঙ্কাই সত্য হয়েছে, মন বিগড়ে গেছে কৈলাসের । তার জন্য ‘পাগল হয়েছে কৈলাস ? হয়তো হয়েছে-কিন্তু যে কৈলাসকে সে চিরকাল জানে সুস্থ স্বাভাবিক সে মানুষটা পাগল হয়নি। একটা মেয়েমানুষের জন্য, পিরীতের জন্য, নাটুকেপনা করার ধাত কৈলাসের छेिल मां (कisामि । মাথা বিগড়ে গেছে কৈলাসের । দুর্ভিক্ষ মহামারী দমন নির্যাতন চরমে উঠেছে, কিন্তু প্রতিরোধ আর লড়াই ছিল বলে মাথা ঠাণ্ড থেকেছে কৈলাসের । কোন বিপদ বা সমস্যা নিয়ে তাকে কখনো বিচলিত হতে দ্যাখেনি লক্ষ্মী । অথচ আজকের আচল অবস্থাটা অসহ্যু وچ سواS