পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে উঠেছে তার, তাকে একেবারো কাৰু করে দিয়েছে। অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিন দিন, সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষা চুরমার হয়ে গেছে মানুষের, অথচ সব যেন থমকে থেমে আছে। কেমন একটা দিশেহারা উদাসীন ভাব মানুষের। অথচ, প্রাণের তো অভাব নেই এদিকে। এলোমেলো ছাড়াছাড়া ভাবে অজস্র সাড়া। মিলছে প্রাণের ! কৈলাস নিজেই বলেছে এসব। কিন্তু এই অবস্থা যে তাকে অস্থির করে তুলতে তুলতে কিভাবে বিকৃত করে দিয়েছে তার বুদ্ধি বিবেচনা এটা সে ধরতে *iहनि । বোধ হয়। ধারাও যায় না নিজের বিকার । কিন্তু তাকে নিয়ে এভাবে পালিয়ে গেলে কি উপায় হবে কৈলাসের ?” এতকাল যাদের সঙ্গে মিলেমিশে যেখানে থেকে দুঃখী মানুষের অবস্থা পাণ্টাবার জন্য এতভাবে লড়াই করে এসেছে, আজ সেই সব সাখীদের ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেলে কি নিয়ে দিন কাটবে তার ? অস্থিরতা আর এই ঝোক তার কেটে যাবে-নিজের ফেলো-যাওয়া আসল জীবনটার জন্য তখন যে হাহাকার করতে হবে তাকে ? থানার ঘড়িতে দশটা বাজার পর লক্ষ্মীর খানিকক্ষণ রীতিমত আতঙ্ক জেগেছিল, যেরকম মনের অবস্থা কৈলাসের সত্যই হয়তো সে তার নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসে হাজির হবে । সাড়ে এগারটার ঘণ্টা বাজতে শুনে এ আতঙ্ক তার কেটে যায়। কিন্তু স্বস্তি জোটে না । অন্য আতঙ্কে প্রাণটা ভরাট হয়ে থাকে। গাদা বলে, ছটফট করছি যে ? লক্ষ্মী বলে, গাদা, তোর যখন খুব কষ্ট হয় মানুষটার জন্য, মনে হয় না পাগল হয়ে যাবি ? তখন তোর পাগল হতে ইচ্ছা হয় না ? গাদা বলে, কেন ? ছাড়া পেয়ে আসবে তো ছ-মাছ এক বছর বাদে ? আশায় শান্ত হয়েছে। গাদার মন । কৈলাসও বিশ্বাস করে এরকম খাপছাড়াভাবে থেমে থাকবে না। সব, খেই ফিরে পাবে মানুষ, সুনির্দিষ্ট আদর্শ Sክምዓ