পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরুষ মানুষ, শহরে খাটে, গ্রামে শহরে মানুষের নানা লড়ায়ে যোগ cान्न, छलू ! বিস্বাদ নয়, ক্ষোভ আর জালায় মাঝে মাঝে এমন বিষাক্ত মনে হয় জীবনটা যে মুক্তির জন্য দিশেহারা দুর্দান্ত ঝোক চেপে যায় ! হয় বৈরাগ্যে, নয়। স্বার্থপর আত্মসুখের চবম ব্যভিচারে - যে ভাবেই হোক এ পীড়ন থেকে মুক্তি চাই। হয় সমান হয়ে - যাক শূন্যতা আর জীবন। নয় পরিণত হোক পশুর জীবনে। কী অভিশাপই স্বষ্টি করে রাখা হয়েছে তাদের জন্য যুগযুগান্ত ধরে! জ্ঞান বুদ্ধি অভিজ্ঞতা দিয়েও প্রভাব কাটিয়ে ওঠা যায় না। একেবারে। নন্দর সঙ্গে কথা বলে কৈলাস। নন্দ তাকে আশ্বাস দেয় । শুধু এই একটা কেন, আরও শত শত দুর্বলতাও তাদের অপরাধ নয়। জীবনকে শুষে পিষে শুষ্ক জীর্ণ ব্যর্থ করে রাখার সঙ্গে শূন্যতার মোহ আর পশুত্বের লোভ অবলম্বন দেওয়া হয়। র্যাক মোহ ফঁআিক লোভ নয় । আধ্যাত্মিক সুখ আর পাশবিক সুখের বাস্তব ব্যবস্থা সমেত । মানুষের বাস্তব জীবনের বাস্তব সুখ তো তাদের জন্য নয় । তারা মানুষ বলেই না। এত ঝঞ্চােট ! আধ্যাত্মিক অমানুষ আর পাশবিক অমানুষ বানিয়ে রাখার এত ব্যবস্থা সত্ত্বেও নিজেদের মনুষ্যত্ব নিয়ে তাদের এত বিভ্রাট ! শুধু নিজেদের জীবন তো নয়, সমস্ত বঞ্চিত জীবনও তাদের পীড়ন করে, আত্মীয় মানুষের ছিবড়ে-বানানো জীবন । এসব যারা মোটেই বোঝে না ? কৈলাস জিজ্ঞাসা করে নন্দকে । নন্দ বলে, তাদেরও করে। সব জীবন জড়ানো-সমগ্র জীবনে রোগ থাকলে নিজের জালা-যন্ত্রণ ছাড়াও সেটা প্রত্যেককে পীড়ন করবে।--বোকা হোক বুদ্ধিমান হোক, কিছু বুকুক আর না বুকুক। দুর্ভিক্ষ এলে অচেতন মুর্থ বলেই কারো শুধু নিজের পেটটাই কি জলে ? দশজনের খিদের জ্বালা তার প্রাণটাকেও জালায় । কৈলাস যে লক্ষ্মীর ও তার সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করতে এসেছে তার সঙ্গে, S» S ግ