পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরে মোকে দশ বার প্রণাম করিস । হাজাটা দেখি । দয়া আর কথা কয় না। স্বামীকে পায়ে হাত দেবার অবাধ অধিকার দেয়। ১ পায়ের পাতা দুটো তার হাজায় পচে যেতে বসেছে। বর্ষাকালে তো মনে হয়েছিল হাজায় পচা পা দুটাে কেটে বাদ দিলেই বুঝি বাচা যায়। প্রদীপ থেকে তেল নিয়ে পায়ে মাখিয়ে দিতে দিতে বলে, এ রো.ে চিকিচ্ছে নেই। t জল না লাগালেই সেরে যায়-হয় না । उांई 6डा तलछेि त्रिकिछ (मई । তা যদি বল। তবে কোন রোগটার চিকিচ্ছে আছে। গরীবের ? হাজায় পা শুধু একটু পচে-বনমালীর বৌটা ? 鸭 স্মরণ করেই চোখ বুজে শিউরে ওঠে। দয়া-ঘনরামের ভালবাসার চাউনি দেখে ষে রোমাঞ্চ হয়েছিল ঠিক তার বিপরীত শিহরণ। আঁতুড়ে পচে যাচ্ছে বনমালীর বৌ,-পচতে পচতে মরে যাবে। আজি দুপুরে দেখতে গিয়েছিল দয়া । পচন ধরা দেহটার সে কী দুৰ্গন্ধ-নিশ্বাস আটকে যায়। এক রকম ওষুধ আছে-গা ফুড়ে দিতে হয়। পুজোর আগে তার দু-পা ভীষণ দুনিয়ে উঠলে নন্দ ডাক্তার তাকে দিয়েছিল। রবারের মোটক আঁটা সুন্দর ছোট শিশির ওষুধ । খালি শিশির একটাতে গজেন নাস্তি রাখে। দু-এক টাকায় হবে না-কয়েকটা দিতে হবে-বনমালীর সে সাধ্য নেই । বৌটা মারবে ? উপায় কি ! ঘরে ঘরে আমন কত মারছে । যা কিছু বেচবার ছিল বনমালী বেচে দিয়েছে। অঘোরের সোমখ মেয়েটা মরল কেন অবিরাম জ্বরে ? অব্যর্থ ওষুধ আছে, জর সারিয়ে দেয়। কিন্তু ওষুধ থাকলে হবে কি ? একটার দামই তিরিশ টাকার মত । দয়া কিন্তু একটা খুত বার করে । বলে, তা কতকটা বটে। কিন্তু মেয়ে বলেই পারল না। অঘোর। ছেলের হলে গয়না বেচে ওই ওষুধটাই দিত। গয়না বেচিতে হয়েছে ! এমনি চিকিচ্ছের কম খরচ ? Rà 8