পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহু রাত্রি পর্যন্ত নিদারুণ অস্থিরতার পর এমন একটা কষ্টকর হতাশা আর অবসাদ নেমে আসে যে বৈজ্ঞানিক মানুষটা বাইরে গিয়ে আকাশের সবচেয়ে দূরের তারাটির শেষ তারাটির ওপরে যে মহাশূন্যতা আছে তার মানে এবং সচেতন মানুষের জীবনের মানে একসঙ্গে ভাববার চেষ্টা করে। পরদিন শরীরটা রীতিমত অসুস্থ মনে হয়। অথচ মায়ার কাছে গিয়ে একবার মুখ খুললেই হয়। একটা দিন ঠিক করে বিয়েটা চুকিয়ে দিলেই হয়। কিন্তু শুভর ভরসা হয় না হঠাৎ কিছু করতে। নিজে কি করবে। জীবনে ঠিক করতে পারেনি। তার মানে তার জীবনের কোন ভিত্তিই এখনো নেই। কোন সাহসে সে আরেকটা জীবনকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়াবে ? তার যদি এই অনিশ্চয়তা, জীবনে কি করবে। মায়া সেটা তো জানাই সম্ভব নয় । দুজনের ভিত্তিহীন জীবনের এই অনিশ্চয়তা কি অভিশাপ হয়ে দাড়াবে 6क अ८का ! বাসনের কারখানার ঝোক তার কেটে গিয়েছে। ওটা এখন দাড়িয়ে গিয়েছে একটা ফঁাদে । মনটা তার বিগড়ে গেছে, পাণ্টে গেছে। কেন যে কাসার বাসনের কারখান খোলার ঝোক চেপেছিল এখন সে নিজেই বুঝতে পারে না ! বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আধুনিকতম বৈজ্ঞানিক জ্ঞান কুড়িয়ে নিয়ে এসে অন্তত প্ল্যাসটিকসের বদলে কঁাসার বাসনের কারখানা খোলা ! যে কাজ অনেক গেয়ে মুর্থ মানুষও পারত ! মনে মনে সে ভাবে, একেই বলে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের অভিশাপ ! চোখকান বুজে দেশকে ভালবাসার কুসংস্কার। ভেবে নিজেকে ধিক্কার দেয় যে ছি, আমিও এ কুসংস্কার থেকে মুক্ত নই! মনে হবে এ তো সত্যই তাজব ব্যাপার! স্বাধীন দেশের ছেলেদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক পরীক্ষার কম্পিটিশনে এত বড় ডিগ্রি ছিনিয়ে নিয়ে এল, অথচ তার 冷》°C