পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার কি মনে হচ্ছে জানো ? পলিটিকস ছাড়া আমার বোধ হয়। অন্য গতি নেই-কিছুই করার নেই। মায়া প্রায় চমকে গিয়ে বলেছিল, কেন ? আর কিছুই করার নেই বলে। বুকটা সত্যিই ধড়াস করে ওঠে মায়ার ! শুভ পলিটিকস করবে। শুনে নয়। করুক না যত খুশি পলিটিকস, সে তো ভালো কথাই। কিন্তু পলিটিকস ছাড়া আর কিছুই তার করার নেই, এ ঘোষণা শুনে মায়ার শক লাগে । আবার কিসের ঝোক চাপল তোমার ? কোন পলিটিকস করবে। ভাবিছ ? যাতে হয় গুলি খেয়ে নয়। ফাসি গিয়ে মরতে হয় ? তার মুখ তুলেটি কাগজের মত পাংশু দেখায়। দেখে শুভর হয় অন্য প্রতিক্রিয়া। হঠাৎ যেন রসাবেশের জোয়ার আসে তার চিন্তাক্লিষ্ট প্রাণে, খুশির সীমা থাকে না ৷ লক্ষ্মীদের সঙ্গে মায়ার সে মন্ত এক মিল খুজে পেয়েছে। হঠাৎ আবিষ্কার করেছে এক আশ্চর্য বাস্তব সত্য ! বুদ্ধিসর্বস্ব পরিবারে ও পরিবেশে মানুষ হয়ে থাকলেও মায়া নিজে বুদ্ধিজীবিনী নয়—তারও জীবনের কারবার দেহগত আর হৃদয়গত । বাপের পয়সা আছে, চাইলে কালকেই সে ভালো চাকরি পাবে—তবু শুভকে অবলম্বন করা ছাড়া তার সত্যিকারের জীবন নেই। সে হাসিমুখে বলে, ওসব নয়। তুমি তো জানো আমি কি চাই। এমন কিছু ধরব যাতে দেশও এগিয়ে যাবে, আমার কোয়ালিফিকেশনও সার্থক হবে। এ দেশে এরকম কোন পথ বোধ হয় খোলাই নেই। আমার জন্য। সেই জন্যই খুঁজে পাচ্ছি না, বোধহয় পাবও না। তাই বল! তাতে এত বিচলিত হবার কি আছে ? আর কিছু না পাও, পলিটিকস করবে ! বড় নেতা হয়ে দেশকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নেবে শুভর। হাসিটা বড় মান দেখায় । কিন্তু এটা যে অগত্যার পথ হচ্ছে মায়া । আমার জীবনেয়। ফাস্টার্স চয়েস তো RRS