পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে হয় ? জগদীশ বলেছে, জমিদারির কোন ব্যাপারে সে কথা কইবে না, হস্তক্ষেপ করবে না । তোমার যেমন ইচ্ছা ব্যবস্থা করবে, সব নষ্ট করতে চাও তাই করবে। তুমি যদি চাও, জগদীশ। সব ছেড়ে দিয়ে বরাবর কলকাতায় থাকতে রাজী আছে । বাবা বলেছেন একথা ? বলেছে বৈকি ! তুমি যা চাও, যেভাবে চাও, তাই সই। তুমি শুধু একটি কথা দেবে, জগদীশ যত দিন বেঁচে আছে বাপের সম্মানটুকু বঁচিয়ে চলবে, বাইরে শুর নিন্দা করবে না, অন্যে নিন্দ করলেও সইবে না । ভূদেব গম্ভীর হয়ে যায়, জোর দিয়ে বলে, এ তো ঠিক কথাই শুভ। আমি এতক্ষণ একথা তুলিনি, কিন্তু প্রজাদের প্রকাশ্য সভায় নিজের ব্যাপকে গালাগালি করা কি তোমার উচিত হয়েছিল ? একেবারে অকারণে মাথা গরম হয়নি। জগদীশের ! তোমারও লজ্জিত হওয়া উচিত । হয়, ভূদেবের এতক্ষণ ধরে বাস্তব বিচার-বিবেচনার গাথা ভিতি আসল কথার গাথনি শুরু হতেই ভাবের চোরাবালিতে তলিয়ে যায় । শুভ বলে, গালাগালি করে থাকলে নিশ্চয়ই লজ্জিত হতাম । ভূদেব ভড়কে গিয়ে বলে, সে কি ? এ যে উদ্ভট ব্যাপার দাড়িয়ে গেল ! যে জন্যে এত ফ্যাসাদ তুমি বলছি সেটাই মিছে! তুমি সভায় যাওনি, কিছু বলনি জগদীশের নামে ? সভায় বাবার নামে বলা হচ্ছিল, আমি সেটা বন্ধ করতেই গিয়েছিলাম। ধান-সীজের ব্যাপারে আমাদের লোকের দু-চারটে অন্যায় করেছিল, আমি সভায় শুধু বলেছি, অন্যায় যদি হয়ে থাকে। বাবার অজান্তে হয়েছে, ভবিষ্যতে एङां श८ । । ভূদেব বলে, ও । বলে ঠিক যেন রোগী দেখার অভ্যস্ত দৃষ্টিতে শুভর দিকে চেয়ে থাকে । শুভ চাটছিল। একি ছেলেমানুষের মত জেরা করা ! কঠিন থেকে কঠিনতর 38 vo