পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারের এই মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল। গায়ের জোরে-বাপের অমতে । সাবিত্রী স্কুলে পড়ত! উচু ক্লাসে। দ্বিতীয়বারের বিয়ে । নইলে বাপের সঙ্গে লড়াই করার সাহস যে জগদীশের হত না তাতে সন্দেহ নেই। প্রথমবার বিয়ে করেছিল প্রায় এক রাজকন্যাকেমেয়েটির বাপ জমিদার হলেও ছিল রাজার ক্লাসের জমিদার । কিছু একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটেছিল তাকে নিয়ে। কেউ বলে খুন হয়েছে, কেউ বলে পাগল হয়ে কোথায় চলে গেছে, কেউ বলে বাপ মেয়েকে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে ফেলেছে। ছেলেবেলা শুভকে বোঝানো হয়েছিল, জমিদারবাড়ি নিয়ে লোকে নানা কথা রটায় । ওসবে কান দিতে নেই। কৈশোরে একবার আদম্য হয়ে উঠেছিল কৌতুহল। শুভ গিয়েছিল তার অজানা অচেনা সৎ-দাদুর বাড়ি। বিরাট বাডি। ফর্স মোট গম্ভীর মানুষ। পরিচয় শুনে জিজ্ঞেস করেছিল, कि 5ां७ ? ছোটমা কি সত্যি মারা গেছেন ? সত্যি মারা গেছেন মানে ? তুমি ছোকরা বুঝি আজকাল উপন্যাস পড়াছ ? বসতেও বলেনি, আর কথাও বলেনি । তার এই অস্বাভাবিক বিরাগ থেকে শুভ বুঝতে পেরেছিল সত্যই স্বাভাবিক মরণ হয়নি তার মেয়ের। তার স্থানে এসেছিল সাবিত্রী । আজও সে বেঁচে আছে—কিন্তু নিজেকে সে সুখী ভাবে না। দুঃখিনী ভাবে শুভ জানে না । বহুবার তার মনে হয়েছে সুখদুঃখের কথা যেন ভাবেই না সাবিত্রী । তার কাছে হাসিকান্না নিছক জীবনধারণের নিয়ম পালন ! সাবিত্রী। ঘণ্টাখানেক নিজের মনে বকে যায়। এলোমেলো কথাগুলিকে জোড়া দেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করে না । শুভ আনমনে শোনে আর মার জীবনের কথা ভাবে। করতে পারে অনেক কিছুই, মাকে মুক্তি দিতে পারে, আড়াল RSV)