বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজ আর মোটা প্রাণের কথাটা এমন মোটা ভাবে বলা হলেও সে এতক্ষণ ধরতে পারেনি । ভেবেছে, তার মা নয়, জমিদার জগদীশের বেী বুঝি এক ঘণ্টা আবোল তাবোল বকেছে ! অথচ মা তাকে প্রাণপণে একটা কথাই বুঝিয়ে গেছে যে ব্যাটাছেলে মানেই বীর । ব্যাটাছেলে মানে জীবন আর জগতের রাজা । যেমন জগদীশ তেমনি আর সকলেই, তার ছেলেও ! কখনো কোন অবস্থাতে ব্যাটাছেলে ভয় পায়। না, ভড়কে যায় না, হতাশ হয় না । রাজ্য আর রাজকন্যা সে জয় করে নোবেই জগতে। ব্যাটাছেলে বলেই শুভ যেন কিছু না ভাবে-সব ঠিক হয়ে যাবে। বাপ কেন, স্বয়ং ভগবানের সঙ্গে লড়াই করে ব্যাটাছেলে জিতে যায় ! তাই বটে। সেইজন্য দেবতার সঙ্গে যুদ্ধ করে হরিশচন্দ্রের জয়লাভের কথাটা সংক্ষেপে বলেই তাদের গোমস্ত হরিশারণের কথাটা মা তুলেছিল। ঘুমন্ত হরিশরণের গলায় কাটারি দিয়ে কোপ বসিয়েছিল তার বে। যত বজাত হোক বেী তো, কাটারি দিয়ে গলা কাটতে শেখেনি, কেঁপে গিয়ে বুঝি অবশ হয়ে গিয়েছিল তার হাত, পাপের নেশায় উন্মাদিনীর হাত । তাদের তদানীন্তন নায়েব ভবতারণ নিজে অনায়াসে ধারালো কাটারির এক কোপে কেটে ফেলতে পারত হরিশারণের গলাটা । বেশী চালাক বলে আর মহাপাপী মাত্রেই বেশী চালাক হয় বলে সে চেয়েছিল বৌটাই নিজের হাতে গলা কাটুক স্বামীর, বিপদ হলে সে অন্তত বলতে পারবে আমি খুন করিনি। বলে ফাসির দায় থেকে রেহাই পাবে। গলা দু-ফাকি হয়নি। বেশ খানিকটা কেটে গিয়েছিল। রক্তে ভেসে গিয়েছিল বিছানা । তবু সে লাফিয়ে উঠে বৌয়ের হাত থেকে সেই কাটারি কেড়ে নিয়ে এক কোপে ফাক করে দিয়েছিল ভবতারণের গলা । তারপর এসে জগদীশের পা জড়িয়ে ধরেছিল। সব শুনে জগদীশ বলেছিল, বেশ করেছিস । R 8 br