পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভর কথা শেষ হলে জগদীশ খানিকক্ষণ স্তন্ধ হয়ে থাকে। তোমার কথার মানে বুঝলাম না । তুমি ভিন্ন থাকবে, আমার কাছে পয়সাকড়ি নেবে না, তবু সম্পর্ক থাকবে কি করে ? সে সম্পর্কের মানে কি ? কি বলবে ভেবে পায় না। শুভ। জমিদারির সঙ্গে সম্পর্ক তুলে দিয়েও সম্পর্ক বজায় রাখার মানে সত্যই জগদীশ বুঝবে না। সে ভেবেচিন্তে বলে, আসল কথা, আমাদের কোন মনোমালিন্য নেই, পরেও থাকবে না । মনোমালিন্য নেই ? তুমি আমার ছেলে, আমি চােখ বুজলে সব ধনসম্পত্তি তোমার হাৰে-তবু তুমি আমার পয়সা ছোবে না বলছি। এ তো মনোমালিন্যেরও বাড়া ! সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়া । ভিন্ন থাকতে চাও সে আলাদা কথা, তোমার খুশির কথা। তুমি এ বাড়িতে থাকতে পার, নতুন বাড়ি কিনতে 叶可一 প্রশ্নটা তা নয়। আপনার টাকা নিলে আমাকে খানিকটা জমিদাবের ছেলে হতেই হবে। আপনি অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন, আরও হয়তো দিতে রাজী হবেন, কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আমি পাব না। স্থির দৃষ্টিতে ছেলের দিকে থেকে শুভ জগদীশ জিজ্ঞাসা করে, তুমি আমায় ঘুণ করা ? না । আপনি যে ফাদে জড়িয়ে আছেন সেটাকে ঘুণ করি । কয়েক মুহুর্ত মাথা নীচু করে থেকে শুভ মুখ তুলে বলে, একটা সহজ মীমাংসা আছে বাবা । বাবা ! এখনো শুভ তাকে এমন সহজভাবে বাবা বলে ডাকে ! দেহে রোমাঞ্চ হয় জগদীশের । সাগ্রহে সে বলে, কী মীমাংসা ? জমিদারি বিক্রি করে দিন। আমি আপনার টাকাও নেব, আপনার সঙ্গেও থাকিব । তোমার অনেক অনুগ্রহ। জমিদারি বিক্রি করে তোমায় নগদ টাকা দেব, RC V9