যেচে ভাব করাই তো ভালো। আপনিই জিতে যাবেন। সত্যিকারের ঝগড়া তো আর হয়নি। সত্যি সত্যি ! মায়া পায়ে পায়ে ফিরে যায়। ধীরে ধীরে পাটিতে বসে। কেউ কথা কইতে সাহস পায় না-লক্ষ্মী পর্যন্ত নয়। গাদা ঠিক কথাই বলেছে, যেখানে সত্যিকারের ঝগড়া নেই সেখানে যে যেচে ভাব করে সে-ই জিতে যায়। তাকে আবার চটিয়ে দেবার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না ! গাদা অজস্র কথা বলে । নিজেই ডাব কেটে গোলাসে জল ঢেলে মায়ার হাতে তুলে দেয়। এক নিশ্বাসে গেলাসের জলটা খেয়ে মায়া একটা নিশ্বাস ফেলে। অনেকক্ষণ চিন্তা করে যেন একটা বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত করেছে এমনিভাবে সে বলে, তোমার যেখানে সেখানে থেকে কাজে নেই । অসুখ-বিসুখ হয়ে যাবে। যতক্ষণ দবকার থাকে, আমিও থাকিছি, আমার সঙ্গে ফিরে যাবে। শুভ ক্ষুন্ন-স্বরে বলে, যেখানে সেখানে মানে ? লক্ষ্মী তাড়াতাড়ি বলে, আহা, কথাটা বুঝলেন না ? উনি কি সে ভাবে বলেছেন কথাটা ? উনি বলছেন, আপনার অভ্যাস নেই । মশার কামড় খাওয়া, ডোবা পুকুরের জল খাওয়া, এসব অভ্যাস নেই, হঠাৎ সইবে না। উনি ঠিক বলেছেন, আমিও তাই বলি। হঠাৎ বাড়াবাড়ি কবে অসুখ বাধিয়ে লাভ কি ? লক্ষ্মী একগাল হাসে, না বোন, ভাবনা নেই ! তোমাব উনি তোমার সঙ্গেই ফিরে যাবেন । শুভ একটা সিগারেট ধরিয়ে বলে, তোমাবা দুজনে মিলে আমায় যেন খোকা বানিয়ে দিলে । বাতাসে বিরঝির শব্দ হয় তেঁতুলগাছের পাতায়। ঘন ছায়ার এখানে, ওখানে অবিরাম বিকমিক করে আলোব রেখাগুলি কাপে ।
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৭১
অবয়ব