পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতীপনা চুলোয় স্বাক । তবে কেন দগ্ধে মারছ ? প্রাণ থেকে সায় দেয় না,আমি কি করব বল ? কৈলাসের মুখ দেখা যায় না। অতি মৃদুস্বরে লক্ষ্মী বলে, সেই ধরলে তো হাত ? 'মাথাটা গুলিয়ে দিতে চাও? কৈলাস হাত ছেড়ে দিয়ে বলে, আমায় নিয়ে খেলা করছ, টের পেলাম আজ } এতকাল পরে টের পেলে ? এদিকে তো বেশ চালাক চতুর! আমার বেলাই কেবল গোসা করতে জানো। এটুকু বোঝে না, সবাই মোদের ঘেন্না করবে, টিটকারি দেবে ? জানুক না জানুক, সবাই যেজন্য ঘেন্না করবে। আমি তা লুকিয়েও করতে পারব না। লক্ষ্মী এবার নিজে হাত বাড়িয়ে কৈলাসের হাত ধরে, বলে, এই দ্যাখে। খেলা করছি। 脚 বলে, সত্যি বলব তোমায় ? নিজেকে আমার বড় ভয় । পুলিসের হাতে জাত গেছে, তাতে আমার বুক জ্বলে কিন্তু দশজনের সাথে বুক ফুলিয়ে মিলিমিশি, মাথা উঁচু রেখে কথা কই । মোরা নয় লুকিয়ে পিরীত করলাম, কেউ জানল না । কিন্তু আমি ঠিক জানি আমি নিজে নিজেই সবার কাছে চোর ८ ९ ।। কৈলাস বলে, তোমার বড় খুতখুতেনি। কি করব বল ? যেটা আছে সেটা নেই ভাবব কি করে ? যদি পার খুতখুতেনি সারিয়ে দাও-কথাটি কাইব না। নয়তো অন্য কোন উপায় কর যাতে তোমার কাছে রাত কাটিয়ে বুক ফুলিয়ে সবার সামনে হাটতে পারি। গোকুল শালা বেঁচে থাকতে কোন উপায় নেই। লক্ষ্মী তার গলা জড়িয়ে কঁাধে মাথা রেখে বলে, তবে আজ লক্ষ্মী ছেলের মত ঘরে যাও। তোমার ওই গোকুল শালাকে মেরে ফেলে উপায় করতে চাও, আমার কোন আপত্তি নেই। আমায় শুধু জানতে দিও না তুমি খুন করেছ। 39 নেয় না, দিব্যি আরেকজনের সঙ্গে ঘর করছে, তোমার অতি সতীপনা কেন ? )