পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেরিয়ারও ছিল একেবারে বাধা । আজকাল শুধু কেরিয়ার, তাতেও আবার ऊँौवन कव्ििभन्न ! \ ভূদেব খুশী হয়ে চুরুট নামিয়ে বলে, তুমি তো ছোকরা ধরেছি ঠিক ! ঠিক কথা, আমি কি শালা শুধু ডাক্তার হতে বিলেত গিয়েছিলাম? আরও কত মতলব ছিল । জীবন বলে, সে সব দিনকাল আর নেই। ভূদেব বলে, একেবার নেই বলি কি করে ? শুভ খানিকটা ভিন্ন রকম মতলব নিয়ে গেছে এইমাত্র । তফাত এই, যাওয়ার জন্য ওকে মারামারিও করতে হয়নি, একটা বিয়েও করতে হয়নি যাওয়ার আগে । ভূদেবের স্ত্রী করুণাময়ী, তার চুলেও পাক ধরেছে, বলে, বিয়ে করে গিয়ে কি ঠিকেছ ? ঠকেছি ? ফিরে এসে তোমাকেই বিয়ে করতাম না ! তবে ? দোষটা কি ? কিছু না । দোষের ব্যাপার হলে জগদীশও কি শুভর বিয়ের জন্য অত চেষ্টা করত ! কোনমতে বাগানো গেল না। তাই, নইলে একটি ইয়ং ওয়াইফকেও এখানে ওয়েট করতে দেখতে পেতাম। সে সব দিন নেই বলে উড়িয়ে দিলে কি চলে জীবনবাবু? চারিদিকে সব কিছু পালটে গেল সব কিছু ? এক রাজা গেছে, আরেক রাজা এসেছে। আপনি আমি বুড়ো হয়েছি, আমাদের জগদীশ প্রৌঢ় হয়েছে ভূদেবের স্ত্রী বলে, তোমার সব বিষয়ে বাড়াবাড়ি। ভূদেবের মেয়ে মায়া নন্দর সঙ্গে নিজেই খানিক আগে পরিচয় করেছিল। তাকে সে ধরে নিয়েছিল দূর সম্পর্কের কোন গরীব আত্মীয় বলে-ন ডাকলেও যারা আত্মীয়তা বজায় রাখার এই সব সুযোগ যেচে গ্রহণ করে, যদি কোন দিন কিছু সুবিধা মেলে এই আশায়। এ সব আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ করার একটা Vove) ইতিকথা-৩