পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু বেত মারা ? না, বেত মারা যায় না। বীরেন চুটি পর্যন্ত কৈলাসকে ঘেত মারেন নি কেন ? আপনাকে লিখিনি অন্য ছেলেদের সামনে বেত মারাই এসব গুণ্ড ছেলের উপযুক্ত শাস্তি ? আজ্ঞে আমের আঁটি গায়ে ছুড়ে মারলে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। অগত্য জগদীশের পক্ষ থেকেই কৈলাসের শান্তির ব্যবস্থা হয়েছিল। এবং বীরেনকে শায়েস্তা করারও। কৈলাসের শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল নায়েব কালীচরণ। বীরেনের দায়টা নিয়েছিল। জগদীশ স্বয়ং। রক্তবমি করে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। কৈলাস । দশজন ছেলের সামনে কৈলাস জগদীশের ছেলের গায়ে হাত তুলতে সাহস করেছে, ছেলেদের সামনেই তার শাস্তি পাওয়া উচিত। পরদিন টিফিনের সময় কালীচরণ স্কুলে গিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে শান্তি शिईिल । খবর পেয়ে ত্রিভুবন ছুটে যায়। যেতে যেতেই সব ব্যাপার শোনে। স্কুলে গিয়ে স্থির হয়ে দাড়িয়ে ছেলের নিম্পন্দ দেহের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে শুঢ়ামাসঙ্গীত ধরে দেয় । গান গাইতে গাইতে দু-চোখ দিয়ে জল পড়ে, কিন্তু গলা কী ত্রিভুবন দত্তের! হঠাৎ গান থামিয়ে ছেলের দেহটা দু-হাতে বুকে জড়িয়ে ধরে সে হাক ছাড়ে, জয় মা চামুণ্ডে ! জয় মুণ্ডমালিনী! ছেলেকে বুকে করে দৃঢ়পদে সে গিয়ে হাজির হয় স্বয়ং জগদীশের বাড়ির লাগাও তারই বাপের প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরের চত্বরে। মন্দিরের দরজার সামনে ছেলেকে শুইয়ে দিয়ে যোগাসন করে বসে গান ধরে দেয়। সব বাছা বাছা কালীসঙ্গীত একে একে গেয়ে চলে। * প্রথম গানটাই ধরে কালী মির্জার V