পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রসীদ পরমেশ্বরি, অধীন দীনে । ঘুচাও দুৰ্গতি সতি গতিবিহীনে। কংসারে নিশুম্ভারে, বারণারে ত্রিপুরারে, এ-দু’স্তরে কে নিস্তারে মা তোমা বিনে ৷ তুমি পুরুষ প্রকৃতি, তুমি সৃষ্টি, তুমি স্থিতি, হয়, লয় হয় তব কটাক্ষেরি কোণে ; ও পদ আপদ পদ, আমার ঘোর আপদ, কালিকে রাখা চরণে ॥ সে তো গান করা নয়, সোজাসুজি প্রার্থনা জানানো যে, তুমি কত দৈত্যদানব fবধ করেছ-আরেক দানবকে শাস্তি দাও ! 南 মন্দিরের বুড়ো পুরোহিত বলে, একি করছ দত্ত ? ত্রিভুবন বলে, এই ধান্না দিলাম। এ-অন্যায়ের প্রতিকার না হলে বাপ-ব্যাটায় “এইখানে দেহত্যাগ করব । দেখতে দেখতে লোকারণ্য হয়ে যায় মন্দির-প্রাঙ্গণ। শুভর মারি বুক টিপ টিপ করে। জগদীশেরও বুক কঁপে। p খবর পেয়ে আসে তান্ত্রিক ভট্টাচার্য। বলে, ছি, ত্রিভুবন, একি ছেলেখেলা শুরু করেছ? মায়ের কাছে প্রতিহিংসা চেয়ে এত দিনের সাধনা নষ্ট করবে ? তুমি তো আসলে ভক্ত নাও মায়ের ! তুমি বলে দেবে। তবে মা ন্যায়।অন্যায়ের বিচার করবেন ? মারি নিজের বিচার নেই ? আবার বলে, তোমার ছেলে অপরাধ করেছে, শান্তি পেয়েছে। সেটা যদি কারো অপরাধ হয়, মহামায়া নিজেই বিচার করবেন। তুমি কেন মহাপাপ করবে ? যাও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি যাও। আমি বলে দিচ্ছি, জগদীশের গাড়ি তোমাদের দিয়ে আসবে । কিন্তু আর কি তখন পিছোবার উপায় আছে! মানুষের ভিড় জমে গেছে চারিদিকে তাদের ঘিরে, উৎসুক উত্তেজিত নরনারী জেনে গিয়েছে সে কি পণ "