পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে মন্না দিয়েছে মায়ের দুয়ারে। মনে খটকা লাগলেও তর্কে আর পরাজয় মানা মায় না। : ছেলেমানুষ শুভ এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করে। তারও কৌতুহলের সীমা নেই। ব্যাপারটা পরিষ্কার ধারণা করতে না পারলেও সে বুঝেছে। এ-ব্যাপারে। সেও জড়িত। হঠাৎ জনতার কলরবকে ছাপিয়ে ওঠে তারই গলার তীক্ষ্ম আর্তনাদ । ভিড়ের মধ্যে টেনে নিয়ে কে একজন তার বা হাতটা এক মোচড়েই ভেঙ্গে দিয়েছে। জগদীশ তখন বাড়িটা সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা নিয়ে ব্যস্ত হয়েছিল। শুভর। মা ইতস্তত করছিল, নিজে এসে ত্রিভুবনের পায়ে ধরে অনুনয়-বিনয় করে তাকে শাস্ত করবে। কিনা। ভক্তের কাতর আবেদন মা-র কতক্ষণ সহ্য হবে ? মা ক্রুদ্ধ হলে কি সর্বনাশ হবে কে জানে । তার চেয়ে মানসন্ত্রম বিসর্জন দিয়ে এমনি সময় চাকরের কোলে চেপে ভাঙ্গা হাতের যাতনায় চিৎকার করতে कब्राऊ ९३ङ ख्न्द्र ५ळी । সর্বনাশ! মা তবে রেগেছেন! ভক্তের মান রাখতে সক্রিয় হয়েছেন! শুভর মা আর দ্বিধা করে না, কোন দিকে না তাকিয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে পাগলিনীর মত মন্দিরে ছুটে যায়। ভিড়ের মধ্যে তার জন্য পথ হয়ে যায় আপনা থেকেই। ত্রিভুবনের পায়ের কাছে ছেলেকে নামিয়ে দিয়ে শুভর মা আর্তকণ্ঠে বলে, রক্ষা কর বাবা, ছেলের আমার একটা হাত গেছে, এতেই সন্তুষ্ট হও । শুভর মুচড়ে বাকানো হাতটা কালচে মেরে এসে ফুলে উঠেছিল। ত্রিভুবন বিশ্বফারিত চোখে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। মুখ তার এমন বিবর্ণ হয়ে যায়। যেন কেউ কালি মাখিয়ে দিয়েছে । এ প্রতিকার তো সে কামনা করেনি। এতটুকু ছেলের এই শান্তি সে তো চায়নি। ত্রিভুবন যেন ৰিমিয়ে নিভে যায়, ভীত হয়ে ওঠে। নিজের কাছে নিজে লে। অপরাধী পাষণ্ড হয়ে যায় । wh etër