পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছলে কখনাে কৈলাস দাবি করেনি ষে ও রকম জানাজানি নয়, সোজােম্বজি একটু স্পষ্টীম্পষ্ট জানাজানি হােক। S SSS S . . . . * বরং মাঝে মাঝে ধানের শীষের দুধ টুকুকে ঘন ফসলের দানা বঁধতে দেবার অবস্থার সময়ে অলস দুপুরে চাষীর মেয়ে লক্ষ্মীর মনটা জালা করেছে যে, মানুষটা कि ! একদিন হাতটাও চেপে ধরতে পারে না। আপন ভুলে ? বলতে পারে। না, আমি তোমায় চাই ? | v কয়েক মুহুর্তের দিবাস্বপ্নের ঘোর কেটে যেতে নিজেই আবার লজ্জাবোধ করেছে। লক্ষ্মী । তার স্থায়ী আতঙ্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে । হাত ধরে কোন লাভ নেই, আবেগভরে আমি তোমায় চাই বলে কোন লাভ নেই, এটা জেনেই তো কৈলাস চুপচাপ আছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস । তাই না তার এত স্বস্তি । তাই না তার এত ভাল লাগে মানুষটাকে, এত মায়া হয়। সে জানত কেন ভয়ে তার মন শক্ত হয়ে যায় কৈলাস নিশ্চয় সেটা अनांछ করেছে। কৈলাসের নিজেরও হয়তো ওই একই আতঙ্ক হয়। একটু টিল দিলেই তারা আর সামলাতে পারবে না। একদিন সংযম হারালেই ভেঙ্গে যাবে হৃদয়মনের সমস্ত বাধা । সমাজসংসার তুচ্ছ হয়ে যাবে তাদের কাছে। অন্য সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে জগৎ-সংসার ভুলে গিয়ে তারা শুধু মেতে থাকবে পরস্পরকে নিয়ে, মশগুল হয়ে থাকবে। আশেপাশের কয়েক জোড়া মেয়েপুরুষের বেলা যেমন হয়েছে তার চেয়েও জোরালো হবে। কারণ, তারা বহুদিন প্রাণপণে চেপে আসছে কামনা। আর ठब्रामि । কল্পনা করলেও রোমাঞ্চ হয়, সর্বাঙ্গেই শিহরণ বয়ে যায়। কিন্তু রোমাঞ্চ আর শিহরণ হলেই তো হয় না। ও তাে ফুরিয়ে যায় চোখের পলকে । কদিন তারা মেতে থাকতে পারবে ওভাবে পরস্পরকে নিয়ে ? কতদিন v98