পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুষ্ক গভীর মুখে আপসোস করে বলে, ওই তো হয়েছে মুশকিল। নিজে দেখেশুমে সব জানতে আমার এত ইচ্ছে, কিন্তু কাছে ঘোষবার উপায় নেই। শামুকের মতো খোলার মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নেবে। একেবারে ছাপ-আর হয়ে গেছি। , কৈলাস মনে মনে ভাবে, কেন বাংলা দেশে আর গা নেই, তোমায় যেখানে কেউ চেনে না ? গরীব সেজে ঘুরে এসো না দুটো দিন, এতই যদি * জানিবার ইচ্ছে। যেটুকু দেখবে শুনবে তাতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে না। cऊांशांद्र ! তবু তার জানিবার বুঝবার ইচ্ছাটাকে স্বীকার না করে কৈলাস পারে না। শখের কৌতুহল হতে পারে। তা হোক। সেটুকুই বা কজনের আছে শুভর शCऊ षष ! খানিক চুপচাপ থেকে সে হঠাৎ প্রশ্ন করে, এক কাজ করবেন ? চাষীরা নিজেদের মধ্যে কি বলাবলি করে আপনাকে শোনাতে পারি। কৈলাসের বুদ্ধিটা সহজ। মানুষের দাড়িয়েছে একান্ত কাহিল অবস্থা, ঘরে ঘরে ধান নেই, ধরণী, সুদ বাড়িয়েই যাচ্ছে। লোচনের বাড়িতে আশেপাশের দুঃস্থ চাষীদের একটা বৈঠক হবে পরামর্শ করার জন্য-ধরণীর সুদের বাড়টা ঠেকাবার কোন উপায় যদি খুজে পাওয়া যায়। তা, শুভ ইচ্ছা করলে বৈঠকটা কৈলাস-লোচনের বাড়ির বদলে নন্দর ডিসপেনসারির দাওয়ায় বসাবার ব্যবস্থা করতে পারে। শুভ আগে থেকে এসে ভেতরে বসে থাকবে। দাওয়ার কথাবার্তা ভেতর থেকে অনায়াসে শুনতে পাবে। কিন্তু একটু সাবধান থাকতে হবে আপনাকে । কেউ না টের পায়। বৈঠকটা পণ্ড হয়ে যাবে। শুভর মুখ লাল হয়ে উঠেছে দেখে নন্দ তাড়াতাড়ি বলে, কি ছেলেমানুষের মতো কথা বলছে কৈলাসদ । শুভ বলে, চোরের মতো লুকিয়ে কথা শুনতে হবে ? স্পাইএর মতো ? আপনার গেয়ে মাথায় বুদ্ধি এসেছে ভাল! ዓ S