পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে আপনার বিবেচনা। চাষীরা প্রাণ খুলে কথা কইবে আর আপনি শুনবেন-এভাবে ছাড়া তা হয় না। মনে মনে কৈলাস যোগ দেয়, কস্মিনকালে হবেও না ! ডেকে বসালে নিজেদের বৈঠকেও চাষীরা একেবারে প্রাণ খুলে সহজভাবে কথা বলতে পারে না, গুরুতর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হচ্ছে, হাল্কা কথা বাজে কথা বলে ফেলাটা মোটেই সঙ্গত হবে না। এই ভাবনাতেই বাধ’ বাধ’ বোধ করে। তবু অভিমান না করে কৈলাসের পরামর্শ শুনলে শুভর একটা নতুন অভিজ্ঞতা হত সন্দেহ নেই। সেটা স্বীকার করেও নন্দ কিন্তু পরে কৈলাসকে অনুযোগ দেয়, তুমি কি করছিলে বল তো ? বৈঠকে কি সবাই শুধু ধরণীর মুণ্ডপাত করত ? ওর বাপের নামেও যা-তা বলত না ? সব শুনত। বুঝতে চাষাভুষো ওদের কত ভক্তি করে ভালবাসে। সেটা খানিক বোঝে। ነጽ খানিক বোঝার চেয়ে একদম না বোঝা ভালো । র্যাক দরদ দেখাবার -नां इश भी । আজকাল ভোরবেলা-চারিদিক ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। অল্প দূরেও নজর চলে না। কুয়াশায় রাত্রি শেষ হয়, আবার হিম-হিম কুয়াশার যেন আভাস “মেলে সূর্যান্তের সঙ্গে সঙ্গে। কুয়াশা কাটতে বেলা হবে, তখন দেখা যাবে ক্ষেত ঢেকে গেছে আগামী ফসলের বাড়ন্ত সবুজ চারায়। ছড়ানো বীজ থেকে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে জন্মেছিল শিশু, গোছায় গোছায় সাজিয়ে রোপণ করেছে চাষী। সারা দিন কঁচা সবুজ শীষগুলি বাতাসে দোলে। নবাগত উত্তরে বাতাস এখনো খেয়ালী, চপল। থেকে থেকে হঠাৎ থেমে যায়,বায়ু বয় পূব থেকে, তা-ও আবার হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে বইতে শুরু করে দখিনা Avo