পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছে হয়, মাইল চারেক। অন্য গ্রামের হিসাব ধরাই হয়নি। স্টেশনের নামও বারতলা। দু-পাশের স্টেশন দুটি বারতলা থেকে বেশী দূরে দূরে নয়। ওই দুটি স্টেশন থেকেই এই এলাকার বেশীর ভাগ গ্রামে যাতায়াতের সুবিধা। বারতলায় তাই যাত্রীর ভিড় হয় না। প্ল্যাটফর্মে হঁটিলে চোখে পড়ে এখানে ওখানে ঘাসের চাপড়া গজিয়ে আছে লাল কঁকার ঢেকে দিয়ে। স্টেশন থেকে বারতলা পর্যন্ত সিধে। রাস্তার দু-পাশের কয়েকটি ছোটখাটাে গ্রাম আর ওই বারতলার যাত্রীরাই শুধু এই স্টেশন ব্যবহার কবে। রাস্ত করার সময়েও অন্যান্য বড় গ্রামগুলির কথা ভাবা হয়নি—জমিদার যেখানে বাস করে সেই বারতলা গ্রামটি ছাড়া যেন রাস্তাঘাটের প্রয়ােজন অন্য গ্রামের নেই। ভিড় হয় বর্ষাকালে। আশে পাশে এই রাস্তাটিই বর্ষাকালে কাদা-শূন্য থাকে। খানিকটা বেশী পথ হাটতে হলেও অনেক গ্রামের লোক তখন এই স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করে,-কৰ্দমাক্ত পিছল পথে হাট যতটা সম্ভব কম दाइ ख्यु) । যুদ্ধের সময় ছোট বড় সব শিল্প যখন মেকী ঐশ্বর্ষের গরমে খুব ফুলছে, তখন বারতলার জমিদার জগদীশের ছেলে শুভময়ের দুঃসাহসী স্বপ্ন এই কারখানার রূপ নেয়। আত্মীয় বন্ধু নিষেধ করেছিল। টাকা ঢালতে চাও, নবশিল্প গড়তে চাও, শহর থেকে এতদূরে কেন ? শহরের চারিদিক বিস্তৃত শিল্পাঞ্চল, এমন কত স্টেশন আর রাজপথের ধারে কত জমি সস্তায় বিকিয়ে যাবার জন্য সাইনবোর্ড বুকে নিয়ে পতিত হয়ে আছে। একটা সুবিধামত স্থান বেছে নিয়ে টাকা ঢালো, কারখানা করো, ভবিষ্যৎ আছে। এতদূরে এখানে কি এসব "কারখানা চলে ? সে রকম বড় কারখানা হয়, যাকে ঘিরে আপনা থেকে একটা লোকালয় গড়ে ওঠে, ওয়াগন বোঝাই হয়ে হয়ে কাচা মাল আসে। আর তৈরি মাল চালান যায়, সেটা হয় আলাদা কথা । স্টোভ ল্যাম্প লণ্ঠনের মত টুকিটাকি জিনিসের কারখানা। এখানে চলতে পারে না । R