পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকাশ! চিরকালের স্থায়ী দুঃখ-দুৰ্দশার কথা কেউ বলাবলি করে না, কারো অজানা নেই কার কি দায় বা দুর্ভোগের জের চলছে তো চলছেই, সে হিসাবে সবাই তারা সমান দুর্ভুগো, কম-বেশী যদি হয়তো সেটা সাময়িক, জোয়ারভঁাটার খেলা মাত্র। রাজেন দাস পোড় খায়নি, তার লজ্জা করতে পারে, ঘরে অন্ন না থাকাটা দশ জনের জেনে ফেলার মধ্যে তার লজ্জার কিছু থাকতে পারে, কিন্তু এটা যে অপৌরুষের বা অপদার্থতার প্রমাণ সেটা অন্যেরা বহুকাল আগেই ভুলে গেছে। ভূষণের জিজ্ঞাসার জবাবে রাজেন দাস একটু কঁচু-মাচু হয়েই বলে, একটু কাজে এয়েছি। দরকার আছে একটা। শ্রীনাথ মাইতি বলে, আর দাদা, কপাল। ফের মালজোড়া বাধা দিতে ५qअछि, शुद्ध ईांछि bgी बच । বলাবলি যা হয় সব চাষাড়ে কথা । হাটে-হাটে ধান-চালের লাটসাহেবী দর, কেমন হবে এবারেও ফসল, ভাগ, আবোয়াব আদায়, জুলুম ইত্যাদির কথা । আর সেদিন রামপুরে পত্তনিদার মদন শাসমলের লোকের সঙ্গে চাষীদের যে মারামারিটা হয়ে গেল সেই আলোচনা। রাখাল একটা নতুন খবর এনেছে আজি, মদন শাসমলের ভাইপো না কি জখম হয়েছিল দাঙ্গায়, হাসপাতালে মারা গেছে। তার চেয়েও জবর একটা খবর শুনে এসেছে তিনু, সত্য কি মিথ্যা জানে না । হাঙ্গামার পর পুলিস এসে রামপুরে ধর-পাকড়-জুলুম চালাচ্ছিল, হঠাৎ না কি । পুলিস চলে গেছে গা ছেড়ে। একেবারে হঠাৎ, সকালেও দলকে দল পুলিস হাজির ছিল, বেলা খানিক বাড়তে না বাড়তে মার্চ করে চলে গেল স্টেশন রোড়ের দিকে। তিনু এসেছে সকলের পরে এই অদ্ভূত কাহিনী নিয়ে, কিন্তু খুটিয়ে খুটিয়ে সবাই যে জিজ্ঞেস করবে এক কথা দশবার করে ব্যাপারটা হৃদয়ঙ্গম করার দারুণ আগ্রহে, তার সময়ও বেশী পাওয়া গেল না । ধারণী এল বৈঠকখানায়। বলল, বেশ, বেশ । তোমরা এয়েছ দেখছি । তা বেশ, তা বেশ ; জয় দুৰ্গা শ্রীহরি। তামাক আনতে বুড়ো হলি শালার ব্যাটা ? trr