o बूशलांछूद्रौद्र ww পিতাকে অপ্রবৃত্ত দেখিয়া, আহলাদিত হউন বা না হউন, বিস্মিত হইতেন। লোকে এত বয়স অবধি কঙ্কা অবিবাহিত রাখে না-রাখিলেও তাহার সম্বন্ধ করে। র্তাহার পিতা সে কথায় কর্ণ পর্য্যস্ত দেন না কেন ? এক দিন অকস্মাং এ বিষয়ের কিছু সন্ধান পাইলেম । ধনদাস বাণিজ্যহেতু চীনদেশে নির্ম্মিত একটি বিচিত্র কোঁটা পাইয়াছিলেন। কোঁটা অতি বৃহৎ—ধনদাসের পত্নী তাহাতে অলঙ্কার রাখিতেন। ধনদাস কতকগুলিন নূতন অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া পত্নীকে উপহার দিলেন। শ্রেটিপচী পুরাতন অলঙ্কারগুলিন কৌটাসমেত কন্যাকে দিলেন। অলঙ্কারগুলিন রাখা ঢাকা করিতে হিরন্ময়ী দেখিলেন যে, তাহাতে একখানি ছিন্ন লিপির অৰ্দ্ধাবশেষ রহিয়াছে। হিরন্ময়ী পড়িতে জানিতেন। তাহাতে প্রথমেই নিজের নাম দেখিতে পাইয়া কৌতুহলাবিষ্ট হইলেন। পড়িয়া দেখিলেন যে, যে অৰ্দ্ধাংশ আছে, তাহাতে কোন অর্থবোধ হয় না। কে কাহাকে লিখিয়াছিল, তাহাও কিছুই বুঝা গেল না। কিন্তু তথাপি তাহা পড়িয়া হিরন্ময়ীর মহাভীতিসঞ্চার হইল। ছিন্ন পত্রখণ্ড এইরূপ। জ্যোতিষী গণনা করিয়া দেখিলা হিরন্ময়ী তুল্য সোনার পুত্তলি বাহ হইলে ভয়ানক বিপদ । সর মুখ পরস্পরে। হইতে পারে হিরন্ময়ী কোন অজ্ঞাত বিপদ আশঙ্কা করিয়া অভ্যস্ত ভীত হইলেন। কাহাকে কিছু না বলিয়া পত্রখণ্ড তুলিয়। রাখিলেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ দুই বৎসরের পর আরও এক বৎসর গেল। তথাপি পুরন্দরের সিংহল হইতে আসার কোন সংবাদ পাওয়া গেল না। কিন্তু হিরন্ময়ীর হৃদয়ে তাহার মূর্ত্তি পূর্ববং উজ্জল ছিল। তিনি মনে মনে বুঝিলেন যে, পুরন্দরও উহাকে ভুলিতে পারেন নাই—নচেং এত দিম ফিরিতেন। a • - ... "
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৪
অবয়ব