कफूर्ष श्रनिरव्हन * 3. করি না, এখন আমি অষ্ঠের স্ত্রী ; কিন্তু আমার বাল্যকালের মুম্বং বাচিয়া থাকুন, এ কামনা কেন না করিব ?” ধনদাসেরও কোন কারণে না কোন কারণে চিষ্ঠিত ভার্য প্রকাশ হইতে লাগিল, ক্রমে চিন্তা গুরুতর হইয়। শেষে দারুণ রোগে পরিণত হইল। তাছাতে তাহার মৃত্যু হইল। ধনদাসের পত্নী অনুসৃত হইলেন। হিরন্ময়ীর আর কেহ ছিল না, এজষ্ঠ হিরন্ময়ী মাতার চরণ ধারণ করিয়া অনেক রোদন করিয়া কছিলেন যে, তুমি মরিও না। কিন্তু শ্রেষ্ঠিপত্নী শুনিলেন না। তখন হিরন্ময়ী পৃথিবীতে একাকিনী হইলেন। মৃত্যুকালে হিরন্ময়ীর মাতা তাহাকে বুঝাইয়াছিলেন যে, “বাছ, তোমার কিসের ভাবনা ? তোমার একজন স্বামী অবশ্ব আছেন । নিয়মিত কাল অতীত হইলে তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইলেও হইতে পারে। না হয়, তুমিও নিতান্ত বালিকা নহ। বিশেষ পৃথিবীতে যে সহায় প্রধান—ধন—তাহা তোমার অতুল পরিমাণে রহিল।” কিন্তু সে আশা বিফল হইল—ধনদাসের মৃত্যুর পর দেখা গেল যে, তিনি কিছুই রাখিয়া যান নাই। অলঙ্কার অট্টালিকা এবং গার্হস্থ্য সামগ্রী ভিন্ন আর কিছুই নাই। অনুসন্ধানে হিরন্ময়ী জানিলেন যে, ধনদাস কয়েক বৎসর হইতে বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া আসিতেছিলেন। তিনি তাহ কাহাকেও লা বলিয়া শোধনের চেষ্টায় ছিলেন। ইহাই র্তাহার চিস্তার কারণ। শেষে শোধনও অসাধ্য হইল। ধনদাস মমের ক্লেশে পীড়িত হইয়া পরলোকপ্রাপ্ত হইয়াছিলেন । এই সকল সংবাদ শুনিয়া অপরাপর শ্রেষ্ঠীর আসিয়া হিরন্ময়ীকে কছিল যে, তোমার পিতা আমাদের ঋণগ্রস্ত হইয়া মরিয়াছেন। আমাদিগের ঋণ পরিশোধ কর। শ্লেষ্ঠিকম্ভা অনুসন্ধান করিয়া জানিলেন যে, তাহাদের কথা যথার্থ। তখন হিরন্ময়ী সর্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া তাহদের ঋণ পরিশোধ করিলেন। বাসগৃহ পর্য্যস্ত বিক্রয় করিলেন। এখন হিরন্ময়ী অমৰন্ত্রের দুঃখে দুঃখিনী হইয়া নগরপ্রাস্তে এক কুটারমধ্যে এক বাস করিতে লাগিলেন। কেবল মাত্র এক সহায় পরম হিতৈষী আনন্দস্বামী, কিন্তু তিনি তখন দূরদেশে ছিলেন। হিরন্ময়ীর এমন একটি লোক ছিল না যে, আনন্দস্বামীর নিকট প্রেরণ " कुन् ।
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৭
অবয়ব